আজ স্বামী বিবেকানন্দ'র জন্মদিন। ১৮৬৩ সালে জন্ম হয় তাঁর। জন্মের সময় নাম ছিল নরেন্দ্রনাথ দত্ত। তাঁর প্রথম পরিচয় তিনি একজন হিন্দু সন্ন্যাসী। এই পরিচয়েই তাঁকে চেনে তামাম দুনিয়া। তবে, এছাড়াও আরও একাধিক পরিচয় ছিল তাঁর। তিনি ছিলেন দার্শনিক, লেখক, সংগীতজ্ঞ এবং রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের প্রধানতম শিষ্য। শুধু ভারতে হিন্দু পুনর্জাগরণের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্বই ছিলেন না তিনি। সেই সঙ্গে ব্রিটিশ ভারতে তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদের ধারণাটিরও প্রবর্তন করেন।
১৮৭১ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশনে ভর্তি হন তিনি। পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী নরেন্দ্রনাথ প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। তিনিই ছিলেন সেই বছর উক্ত পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ একমাত্র ছাত্র।
১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দে, তিনি কেশবচন্দ্র সেনের নব বিধানের সদস্য হয়েছিলেন। নরেন্দ্রনাথ ফ্রিম্যাসনারি লজের সদস্য হয়েছিলেন। এবং পরে কেশবচন্দ্র সেন ও দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্রাহ্মসমাজেরও সদস্য হন। তবে, তাঁর মূল প্রশ্ন, "আপনি ঈশ্বরকে দেখেছেন"-এর উত্তর ব্রাহ্মসমাজের সদস্যদের কাছে ছিল না। যে উত্তর ছিল, তাতে সন্তুষ্ট হননি নরেন্দ্রনাথ। তাঁর জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ বাঁকটি আসে ১৮৮১ সালে। ওই বছরই রামকৃষ্ণদেবের সাক্ষাৎ পান নরেন্দ্রনাথ।
১৮৯৩ সাল নরেন্দ্রনাথ তথা বিবেকানন্দ এবং ভারতের কাছেও বিশ্বের দরবারে নাম উজ্জ্বল করার বড় সুযোগ আসে। শুরু হবে বিশ্বধর্ম সম্মেলন। সেখানে যোগ দিতে তার মাদ্রাজের শিষ্যদের এবং মহীশূর, রামনাদ, খেতরির রাজাদের, দেওয়ান এবং অন্যান্য অনুগামীদের সংগৃহীত অর্থের সাহায্য নিয়ে এবং খেতরির মহারাজার পরামর্শকৃত নাম বিবেকানন্দ ধারণ করে তিনি ১৮৯৩ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ মে শিকাগোর উদ্দেশে রওনা দেন।
তারপর থেকে ১৯০২ সালের ৪ জুলাই মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তাঁর জীবনের প্রায় প্রতিটি মুহূর্ত সোনার অক্ষরে খোদাই করা ইতিহাসের পাতায়।