'এভরিথিং ইজ ফেয়ার ইন লাভ অ্যান্ড ওয়ার...'। ছাদনাতলায় বুড়ো-বুড়ি! পাত্রের বয়স ১০০, পাত্রী সামান্য বড়, ১০২। ফিলাডেলফিয়ার এই নবদম্পতি এখন টক অফ দ্য টাউন, থুড়ি টক অফ দ্য হোল ওয়র্ল্ড! গিনেস বুকে নাম উঠল বার্নি লিটম্যান এবং মার্জোরি ফিটারম্যানের। বার্নি-মার্জোরির দীর্ঘ ৯ বছরের প্রেম পরিণতি পেল চলতি বছরের ১৯ মে। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সি 'সদ্য বিবাহিত'র তকমা পেয়েছেন মিয়াঁ বিবি।
কীভাবে দেখা হল, দুজনের? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার এক বৃদ্ধাবাসে আলাপ। জীবন সায়াহ্নে আলাপ বলে কি প্রেম 'না হওয়া' থেকে যাবে? তা হয় নাকি? ছ' দশকের বেশি দাম্পত্য কাটিয়ে দুজনেই একা হয়েছিলেন যে যার জীবনসঙ্গীকে হারিয়ে। সেই একাকিত্বে মলম লাগাতে গিয়েই আবার দুজনের কাছে আসা, হাতে হাত রাখা। ঠিক যেন সিনেমা!
আচ্ছা, যৌবনে দুজনের দেখা হতে পারত না? পারত, কৈশোর পেরিয়েই, পারত। মোটামুটি একই সময় ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভিনিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কাটিয়েছিলেন দুজনে। কিন্তু, জীবনের চিত্রনাট্যে তাঁদের জন্য রাখা ছিল অন্যরকম টুইস্ট।
বার্ধ্যক্যের প্রেম, বিয়ে নিশ্চয়ই করবেন না এভাবেই কাটিয়ে দেবেন, পাত্র পাত্রীর বাড়ির লোক তেমনটাই ভেবেছিলেন শুরুতে। কিন্তু না! 'বিয়ের বয়স' বলে কিছু হয়, বিশ্বাস করেন না বার্নি এবং মার্জোরি। তাই, মিস্টার অ্যান্ড মিসেস হওয়ার পথ বেছে নিয়েছেন। দুজনের হুইল চেয়ার-ই হয়ে উঠেছে বিয়ের পিঁড়ি। দুজনের পরিবারের সদস্যরাই এমন একটা খুশির খবরে উচ্ছ্বসিত। বার্নির পরিবারের চার প্রজন্ম উপস্থিত ছিল উদযাপনে।
কোভিডের সময় দুজন দুজনের কাঁধটুকু পেয়েছিলেন। হাতটা আরও শক্ত করে ধরেছিলেন। অতিমারি পেরিয়েছে, শুধু হাতদু'টো আলগা হয়নি দুই 'চিরসখা'র।