রিলসে মজে দুনিয়া । সোশ্যাল মিডিয়ায় খুললেই চোখে পড়বে নানা ধরনের রিলস । তাতে যেমন আছে সিরিয়াস কন্টেন্ট, সেইসঙ্গেও মজারও । ফেসবুক হোক বা ইনস্টা... স্ক্রল করতে করতে নিশ্চয় সেরমই একটি মজার রিলস নিশ্চয় এতদিনে অনেকের চোখে পড়েছে । কোন রিলসের কথা বলছি ? ওই যে, 'আফটার শেভ' ভিডিও । দীর্ঘদিন বাবার দাড়ি ভর্তি মুখ দেখে অভ্যস্ত যে ছেলে-মেয়েরা...হঠাৎ যখন বাবাকে পুরো শেভ করা অবস্থায় দেখছেন, তখন অদ্ভুত রিঅ্যাকশন । দেখলে হাসতে হাসতে আপনারও পেট ফেটে যাবে । তাহলে কি বাবাকে দাড়িতে দেখতেই পছন্দ করেন সন্তানরা ? বিষয়টা একটু গবেষণার ঠিকই । কিন্তু, জানেন দাড়ি-র জন্য আল্লু অর্জুনের কাছেই ঘেষেন না অভিনেতার মেয়ে । গত তিন থেকে চার বছর মেয়ে নাকি বাবার থেকে দূরেই থেকেছেন ।
পুষ্পা ইউনিভার্সে মজেছে সকলে । পুষ্পা:দ্য রাইজের পর হিট পুষ্পা টু দ্য রুল-ও । সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে সিনেমা । জানা গিয়েছে, বিশ্বজুড়ে মাত্র ৬ দিনে ১০০০ কোটির গণ্ডি পেরিয়ে গিয়েছেন আল্লু, রশ্মিকা । আর মুক্তির পর থেকে এক সপ্তাহের হিসেবে ভারতে ৬০০ কোটির বেশি ব্যবসা করেছে সিনেমা ।
তবে জানেন, পুষ্পা ইউনিভার্স সিনেমার জন্য মেয়ে নাকি আল্লু আর্জুনের কাছেই আসে না । কারণ, তাঁর দাড়ি । 'পুষ্পা' সিনেমাতে নজর কেড়েছে আল্লু অর্জুনের দাড়ির স্টাইল । কিন্তু, দাড়ির জন্য প্রায় তিন-চার বছর ধরে মেয়েকে ঠিকভাবে আদর করতে পারতেন না আল্লু । মেয়ে তো কাছেই আসত না । তবে, সিনেমা শেষ । খুব শীঘ্রই দাড়ি কেটে ফেলবেন আল্লু । তবে, সিনেমা শেষের পর কেমন মনে হচ্ছিল আল্লু ও রশ্মিকার ? প্রায় ৫ বছর পুষ্পা ইউনিভার্সকে দিয়েছেন তাঁরা । সম্প্রতি, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে আল্লুকে বলতে শোনা যায়, শুটিং শেষে রশ্মিকা কেঁদে ফেলেছিলেন । আর আল্লু শুধু চুপ করে গিয়েছিলেন । গত পাঁচ বছর ধরে সিনেমার সেটটা তাঁদের কাছে তো দ্বিতীয় বাড়ির মতোই হয়ে উঠেছিল । তবে, সবশেষে একটা কথা ভালই বোঝা গেল, আল্লুকে একেবারেই দাড়িতে পছন্দ নয় মেয়ের ।
এতো গেল আল্লু অর্জুনের দাড়ি কাহিনি । তবে, জানেন বিশ্বে কিন্তু দাড়ি নিয়ে মজার সব গল্প রয়েছে ।
দাড়ি নেই পুরুষদের
দাড়ি ছাড়া পুরুষ দেখেছেন ? অনেকের উত্তর হবে হ্যাঁ । ক্লিন শেভ করলেই হয়ে যায় দাড়ি ছাড়া পুরুষ । না বিষয়টা তা নয় । জানেন, বিশ্বে এমন এক জায়গা রয়েছে, যেখানে পুরুষরা দাড়িই রাখে না । বরং মুখে দাড়ি থাকলে তাকে ‘অসুন্দর’ মনে করা হয় সেখানে । কোন জায়গার কথা বলছি জানেন ? দক্ষিণ কোরিয়া । সেদেশের পুরুষরা কোনও সবসময় ক্লিন শেভিং করেন । এমনকী, লেজার ট্রিটমেন্ট দিয়ে ফেসিয়াল হেয়ার রিমুভ করেন অনেকে । সেদেশের মহিলারাও পুরুষদের দাড়ি ভর্তি মুখ দেখতে পছন্দ করেন না । সেকথা মাথায় রেখেও দাড়ি রাখেন না দক্ষিণ কোরিয়ার পুরুষরা ।
দাড়ি রাখলেই কর
কর কীসে থাকে ? বাড়ি, গাড়ি,পোশাকের মতো জিনিসের উপর । কিন্তু দাড়ি-র উপর কর ? এমনটাই হয়েছিল রাশিয়ায় । ১৬৯৮ সালে রাশিয়ার রাজা প্রথম জার পিটার দাড়ির উপর কর বসান। এর পিছনেও একটা গল্প রয়েছে । সিংহাসনে বসার পর পিটার ইউরোপে ভ্রমণে গিয়েছিলেন । ভ্রমণ শেষে ইউরোপের মতো শক্তিশালী করার জন্য রাশিয়াকে আধুনিক করার পরিকল্পনা করেন তিনি । আর আধুনিকতার পদক্ষেপ হিসেবে ইউরোপের মতো রাশিয়াতেও কোনও পুরুষের মুখে দাড়ি না রাখার সিদ্ধান্ত নেন । প্রথমে নিজেই অতিথিদের দাড়ি ক্ষুর দিয়ে কামিয়ে দেন । পরবর্তীকালে আবার দাড়ির উপর কর বলিয়ে দেন । শুধু রাশিয়া নয়, ইংল্যান্ডেও দাড়ির উপর কর বসিয়েছিলেন রাজা অষ্টম হেনরি ।
দাড়ি-গোঁফ প্রতিযোগিতা
প্রতিযোগিতা, তাও কীসের ? দাড়ি, গোফের । হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন । যেমন, জার্মানিতে দাড়ি গোঁফের একটি প্রতিযোগিতা হয়েছিল । প্রতিযোগিতায় অংশ নেন প্রায় ১০০ জন । অংশ নেওয়ার জন্য জার্মানি ছাড়াও নেদারল্যান্ড, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া এবং ইজরায়েল থেকেও মানুষ এসেছিলেন ।
দাড়ি-তে মৃত্যু
দাড়ি-র জন্য মৃত্যু ! কীভাবে ? সবচেয়ে লম্বা দাড়ির জন্য বিখ্যাত ছিলেন অস্ট্রিয়ার হ্যানস স্টেনিনগার । কিন্তু, জানেন, লম্বা দাড়ি পায়ে জড়িয়ে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর । জানা গিয়েছে, পায়ে দাড়ি জড়িয়ে পড়ে গিয়েছিলেন । ফলে ঘাড় ভেঙে গিয়েছিল তাঁর । সেই ঘটনাতেই মৃত্যুও হয় তাঁর ।