টানা এক বছরের অপেক্ষা শুরু হয় দশমী থেকে । উমা আসবেন আবার ১২ মাস পর। লক্ষ মানুষের একঘেয়ে বাঁচার ওপর জমে থাকা ধুলো ঝেড়ে চারদিনের উৎসবে সেজে ওঠে বাংলা। বিত্ত নির্বিশেষে সকলের ঘরে জ্বলে ওঠে আনন্দের পিদিম থেকে ঝাড়বাতি৷ কিন্তু উৎসব তো চিরন্তন নয়। উদযাপনের গা ঘেঁষেই ছিল বিচ্ছোদের লগ্ন। মণ্ডপে মণ্ডপে এবার আলোর রোশনাই নেভার পালা শুরু হয়ে যায় দশমীর সন্ধে থেকেই, প্রতিমা বেরিয়ে যাওয়ার পর নাটমন্দিরে টিমটিম করে জ্বলবে একলা প্রদীপ।
এই দশমী তো শেষের সময়। মা চলে যাওয়ার সময়। এমন দিনে আর বিশেষ সাজগোজের টিপস লাগে না। আলমারি খুললে এমনিই চোখ যায় লাল পাড় সাদা শাড়িটার দিকেই।
সাজ:
আজ বেছে নিতে পারেন তাঁত, সিল্ক, জামদানি, সুতি যা খুশির লাল পাড় সাদা শাড়ি। যারা সিঁদুর খেলবেন লাল ব্লাউজ দিয়ে শুধুমাত্র একটা সাদা শাড়িও গায়ে জড়াতে পারেন, বা উল্টোটা কেবল লাল একটা শাড়ির সঙ্গে সাদা ব্লাউজ ও মানাবে ভাল।
গয়নাগাটি:
লাল পাড় সাদা শাড়ি এই স্নিগধ সাজটার সঙ্গে সবচেয়ে মানায় সোনার গয়না। কানে গলায় হালকা সোনার গয়না বা গোল্ড প্লেটেড জুয়েলারি পরলে মানাবে ভাল। হাতে ক’গাছা চুড়ি, আর নাকে নথ হলেও মন্দ হয় না।
আলতা:
আজ পায়ে আলতাটুকু পরতে পারেন। যেভাবেও শাড়ি পরুন না কেন একটু গোড়ালি থেকে উঁচু করে পরবেন। যাতে আলতা দেখা যায়, সঙ্গে পায়ে পরতে পারেন নুপুর।
মেকআপ :
এদিন মেকআপ নিয়ে বিশেষ ভাবার দরকার নেই। এই সাজে একটা লাল টিপই অন্য মাত্রা জুড়ে দেয়। একটু কাজল, আর একটু লাল লিপস্টিক। ব্যাস সাজ কমপ্লিট। আর চুলে যদি জড়ান জুঁই তাহলে তো কথাই নেই।