বছরের বাকি সময় সাজগোজ নিয়ে ভাবার বিশেষ সময় এই প্রজন্মের হয়ে ওঠে না। তবে উৎসব উদযাপনের সময়টা আলাদা। তখন নিজেকে সাজানোর জন্য থাকে অখণ্ড অবসর। তা, বছরের সেই সময়টা এসে উপস্থিত। ঠিক সেই সময়েই শহরে এসে হাজির রুপোর মেয়ে, এই শহরের দুর্গাদের একটু সাজাবে বলে।
এডিটরজি বাংলার টিম পৌঁছে গেলাম Quirksmith-এর প্রদর্শনীতে। রুপোর গয়নায় যা বিগত কয়েক বছরে নিঃসন্দেহে হয়ে উঠেছে একটা নাম। তিলোত্তমায় এই-ই প্রথম এল Quirksmith। যদিও অনলাইন শপিং-এর দৌলতে তিলোত্তমার আধুনিকাদের অনেকেই তাঁদের নিয়মিত খদ্দের।
ট্রেন্ড বলছে, এ যুগের আধুনিকারা গয়না বলতে বোঝে রুপো এবং জাঙ্ক। যে কোনও অনুষ্ঠানেই সোনার চেয়ে এখন রুপোর কদর বেশি। অফিসের পার্টি থেকে শুরু করে ট্র্যাডিশনাল সাজ কিছুতেই বেমানান নয় রুপো।
Quirksmith-এর পথ চলা শুরু কীভাবে, গল্পে আড্ডায় নিজেই জানালেন রুপোর মেয়ে দিব্যা। ২০১৫ সালে কর্পোরেটের চাকরি ছেড়ে বোনের সঙ্গে এই ঝুঁকিটা নিয়েই ফেললেন দিব্যা।
দুটো কারণে রুপোই বেছেছিলেন। প্রথমত, রুপো নিঃসন্দেহে রাজকীয় অথচ সোনার মতো দামি নয়। দ্বিতীয়ত, একেবারে সস্তার ধাতু নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করতে গেলে অধিকাংশের শরীরেই নানা অ্যালার্জি হয়, রুপোয় সে সব হয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
নানারকম মেজাজ বুঝে হরেক ডিজাইনের গয়না রাখেন দিব্যা। এ যুগের তরুণ প্রজন্মের সাজের সংজ্ঞা যে পাল্টেছে, সেটা মাথায় রেখেই ভারী গয়নার চেয়ে স্লিক গয়নার সম্ভারই বেশি এখানে।
গয়নার খদ্দের অধিকাংশ মেয়েরা হলে কী হবে, তাঁরা ব্যবসা করতে শুরু করলে কিন্তু যথেষ্ট বেগ পেতে হয় এই একুশ শতকেও, দিব্যাকেও হয়েছিল। মহিলা অন্তপ্রেনার? শুনেই নাক সিটকেছে অনেকে। গুরুত্ব দেয়নি যথেষ্ট। কিন্তু রুপোর মেয়ে লড়াই জারি রেখেছে ঠিক। আর তারই ফসল এই রুপোলি রূপকথা।