মাথাব্যথা, জ্বর কিংবা গায়ে ব্যথা? চিন্তা নেই, হাতের কাছে প্যারাসিটামল(Paracetamol) আছে তো। আমাদের অনেকের কাছেই ছোটোখাটো প্রয়োজনে চিরপরিচিত রক্ষাকবচটির নাম প্যারাসিটামল(Paracetamol)। বিভিন্ন সময়ে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই আমরা নিজেদের মতো প্যারাসিটামল(Paracetamol) খেয়ে থাকি। কিন্তু এভাবে প্যারাসিটামলের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে আমরা নিজেই নিজের ক্ষতি করে ফেলছি। এবার এই আশঙ্কার কথাই শোনালেন বিশিষ্ট চিকিৎসক নিরঞ্জন সামানি(Dr Niranjan Samani)।
Editorji-কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে চিকিৎসক নিরঞ্জন সামানি(Dr Niranjan Samani) জানান, কীভাবে ওষুধের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে মানুষের দেহের ক্ষতি হয়ে যায় অজান্তেই। তাঁর কথায়, প্যারাসিটামল ট্যাবলেটের নিয়মিত ব্যবহার হার্ট অ্যাটাক(Heart Attack) এবং হৃদরোগের সমস্যাকে বহুলাংশে বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকের(Doctor) পরামর্শ ছাড়া এই ওষুধের নিয়মিত ব্যবহারে গা বমি ভাব, বমি সহ নানান উপসর্গ দেখা যায়।
আর পড়ুন- Budget 2022: মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে টেলি মেন্টাল হেলথ সেন্টারের প্রস্তাব
এছাড়া সারা গায়ে অ্যালার্জি হতে পারে। সারা দেহ ছেয়ে যেতে পারে ছোট ছোট ফুসকুড়িতে। এতেই শেষ নয়, হতে পারে ক্যান্সার(Cancer), যকৃতের সমস্যা(Liver Disease)। প্যারাসিটামলের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে মস্তিষ্কের ক্ষতি সহ রক্তের অম্লতা বৃদ্ধির ঝুঁকিও রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তিনি(Dr Niranjan Samani) আরও বলেন, "আপনি যখন প্রতিদিন ৪-৫ গ্রাম প্যারাসিটামল খান, তখন এটি যকৃত এবং কিডনির ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। এইধরনের সমস্যা মেটাতে ১৬ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসার প্রয়োজন, নচেৎ বিপদ ঘটতে পারে। তাই সর্বদা ডাক্তারের পরামর্শ মেনে এই প্যারাসিটামল(Paracetamol) গ্রহণ করুন।" নিজের ইচ্ছামতো প্যারাসিটামল গ্রহণ থেকে সাধারণ মানুষকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক নিরঞ্জন সামানি(Dr Niranjan Samani)।