সুভাষ চন্দ্র বসু (Subhash Chandra Bose) বাঙালির এক চিরকালীন আবেগ। তাঁকে নিয়ে নানা গল্পকথা সময়ের সঙ্গে কার্যত মিথে পরিণত হয়েছে। বাঙালি কিন্তু আজও হিরো বলতে বোঝে ঘরের ছেলে সুভাষকে। সেই হিরোর মূর্তি বলে কথা!
নেতাজির মূর্তিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চর্চিত হল শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ের অশ্বারোহী নেতাজির মূর্তিটি। ওটাই যে নেতাজির প্রথম মূর্তি, এমনটা কিন্তু নয়।
জেমস আউট্রামের অনুকরণে তৈরি সুভাষের মূর্তি তো মনে ধরল না অধিকাংশ কলকাতাবাসীর। তখনকার খবরের কাগজের ভাষায় ‘অক্ষম অনুকরণ’। আউট্রামের মূর্তির ভাস্কর ছিলেন জন হেনরি ফলি। নেতাজির মূর্তির সঙ্গে সত্যিই আসল মূর্তির তুলনাই হয় না। অনেকেই সে সময় বলেছিলেন, মূর্তিতে নাকি শৌর্যবীর্যময় নেতাজির আসল মূর্তিকে অপমান করা হয়েছে।
কলকাতায় নেতাজির প্রথম পূর্ণাবয়ব মূর্তিটি বসেছিল রাজভবনের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে। ১৯৬৫ সালে। আর, কলকাতা পৌরসংস্থার পক্ষ থেকে পনেরো ফুট এক ইঞ্চি উচ্চতাবিশিষ্ট নেতাজির এই ব্রোঞ্জের মূর্তিটি স্থাপিত হল তার চার বছর পরে।
এখানে একটা মজার কথা জানিয়ে রাখি। নেতাজির প্রথম পূর্ণাবয়ব মূর্তিটি কিন্তু কলকাতার কোথাও তৈরি হয়নি। বরং হয়েছিল জলপাইগুড়ি শহরে। 1951 সালে করলা নদির ধারে তৈরি হয়েছিল সুভাষ চন্দ্র বসুর প্রথম মূর্তি।