সমাজে এত ঘুন ধরতেই পারত না, যদি এই সমাজ ‘উদয়ণ পণ্ডিত’ এর মতো শিক্ষক পেত। সবাই ওমন হন না, কিন্তু যাঁরা ওমন শিক্ষক এই সমাজ তাঁদের জন্যই বদলানোর স্বপ্ন দেখে। আজ ৫ সেপ্টেম্বর, টিচার্স ডে। সেই সমস্ত শিক্ষকদের আজ কুর্নিশ জানানোর দিন। আশীর্বাদ নিয়ে তাঁদের একটিবার স্বীকার করে নেওয়ার দিন।
যাঁদের বকুনির চাদরের নিচে বইত স্নেহের ফল্গুধারা, আলতো ধমকের পাথর সরালেই এক সমুদ্র প্রশ্রয় - শিক্ষক দিবস তাঁদের সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা জানানোর দিন আজ। দেশজুড়ে আজ পালিত হচ্ছে শিক্ষক দিবস।
তবে যাঁদের কাছে খাতায় কলমে, পুঁথিগত বিদ্যে শেখা যায় শুধুই তাঁরাই শুধু শিক্ষক এমনটা নয়। শিক্ষক তাঁরাও যাঁরা আমাদের প্রতিনিয়ত আমাদের পথ দেখিয়ে যাচ্ছেন মানুষ হওয়ার, বড় হওয়ার, ভাল হওয়ার। স্টেশন কাছে চলে এলে যেমন কুয়াশা কেটে যায়, ঠিক তেমনই প্রকৃত শিক্ষকের সামনে এলেও কেটে যেতে থাকে তথাকথিত শিক্ষার অহঙ্কারগুলি। মানুষ তার ভিতরের সমস্ত ইতিহাস-ভূগোল নিয়েই একটি সম্ভ্রান্ত মাংসল লাইব্রেরি। মানুষের মৃত্যুতে একটি লাইব্রেরি কমে যায়। মানুষ শেষমেশ শিক্ষক হয়ে উঠতে পারল কি না, তা আলোচনার বিষয় বটে। কিন্তু, তার সঙ্গে এ কথাও ঠিক যে, নিজের ভিতরের এই লাইব্রেরিটিকে নিয়ে প্রতিটি মানুষই কোনও না কোনওভাবে শিক্ষক হয়ে ওঠার যোগ্য।জীবনের পাঠ দেওয়ার পাশাপাশি, যারা শেখালেন কখনও হেরে যেতে নেই, ভেঙে পড়তে নেই সহস্র আঘাতেও- এমন শিক্ষা যাঁরা দিয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত, তাঁদের প্রতিও এই শিক্ষকদিবসে রইল প্রণাম।