পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাটে বাজি কারখানা থেকে বিস্ফোরণ। ঘটনায় ৪ শিশু-সহ আটজনের মৃত্যু। এলাকাবাসীর দাবি, ওই বাড়িতে অবৈধ বাজি তৈরি হত। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, বাজি তৈরির লাইসেন্স ছিল। এমনই জানিয়েছেন পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর জানা। এলাকাবাসীর একাংশ জানাচ্ছে, পরিবেশ বান্ধব বাজির লাইসেন্স নিয়ে অবৈধ বাজি বানানোর কাজ চলছিল।
সোমবার রাতে পরপর বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢোলাহাটের দক্ষিণ রায়পুরের তৃতীয় ঘেরি এলাকা। মজুত করা বাজি থেকে বিস্ফোরণ হয় গ্রামের একটি বাড়িতে। দাউদাউ করে আগুনে জ্বলে ওঠে বাড়িটি। বিস্ফোরণের পরই গোটা গ্রাম নিরাপত্তায় ঘিরে ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার ফরেনসিক দল এলাকায় যায়। সব খতিয়ে দেখেছেন বিশেষজ্ঞরা।
জানা গিয়েছে, ওই বাড়িতে ১১ জন সদস্য় থাকতেন। চন্দ্রকান্ত বণিক ও তুষার বণিক, দুই ভাইয়েরই এই ব্যবসা ছিল। ঘটনার পরই পলাতক দুই ভাই। তাঁদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা-সহ সাতটি জামিন অযোগ্য় ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের বাবা, ঠাকুমা, স্ত্রী, দুই সন্তানেরও। তুষারের স্ত্রী রূপা বণিক আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে মৃত্যু হয় তাঁর।