বর্ধমানের পানাগড় গাড়ি উল্টে তরুণী মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন পরিবারের। এই ঘটনায় মৃত চন্দননগরের বাসিন্দা সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মায়ের অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে ইভটিজিং করতেই ধাওয়া করা হয়েছিল। যদিও আসানসোল পুলিশের দাবি, এই ঘটনায় ইভটিজিংয়ের কোনও অভিযোগ নেই। সুতন্দ্রার মৃত্যু হয়েছে দুটি গাড়ির রেষারেষিতেই। এই ঘটনায় চিহ্নিত করা হয়েছে সাদা গাড়ির মালিককে। তাঁর নাম বাবলু যাদব। এদিন কাঁকসা থানায় গিয়ে দুটি গাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।
আসানসোলের পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরি জানিয়েছেন, পরিবারের তরফে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তাতে ইভটিজিংয়ের কোনও অভিযোগ নেই। এই ব্যাপারে তাঁরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজও খতিয়ে দেখছেন। পুলিশের দাবি, একটি গাড়ির ধাক্কাতেই অপর গাড়িটি উল্টে গিয়েছে। আর তাতেই মৃত্যু হয়েছে ২৬ বছরের সুতন্দ্রার।
যদিও পুলিশের এই দাবির সঙ্গে একমত নন কাঁকসা থানা থেকে ছাড়া পাওয়া এক প্রত্যক্ষদর্শী। তিনি জানিয়েছেন, বুঁদবুঁদে গাড়িতে পেট্রোল নেওয়ার পর থেকেই তাঁদের গাড়িকে ধাওয়া করা হয়। এবং সুতন্দ্রাকে ক্রমাগত উত্যক্ত করা হয়। তিনি জানান, তাঁদের গাড়িতে সাদা গাড়িটি প্রথমে ধাক্কা মারে। এবং সেই ধাক্কাতেই তাঁদের গাড়িটি উল্টে যায়।
মাত্র ন মাস আগে স্বামীকে হারিয়েছেন ক্যানসারে। মেয়ের মৃত্যুর পর মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তাঁর মেয়েকে ইভটিজিংই করা হয়েছে। পুলিশের রেষারেষির তত্ত্ব খারিজ করে তিনি জানিয়েছেন, যে চালক গাড়ি চালাচ্ছিলেন, তিনি রেষারেষি করার লোক নন। কারণ, এর আগে বহুবার তাঁর সঙ্গে পরিবার নানা জায়গায় গিয়েছেন।