গারদে কেষ্ট। কেমন কাটল তাঁর প্রথম রাত ? তা জানতে অনেকই বেশ আগ্রহী। কারণ, অনুব্রত মণ্ডলের মতো দাপুটে নেতার জন্য আসানসোল সংশোধনাগারে কী ব্যবস্থা আছে, তা জানতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে আম-জনতা সবাই প্রচন্ড আগ্রহী। গরুপাচার তদন্ত মামলায় গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলকে রাখা হয়েছে হাসপাতাল ওয়ার্ডে। কারণ, জেলে ঢোকার আগেই কোভিড পজিটিভ তিনি। তবে তা উপসর্গহীন বলেই প্রাথমিক ভাবে দাবি। রাতে কী খেলেন অনুব্রত ? জেল সূত্রে খবর, প্রথম রাতে দেওয়া হয়েছিল ডাল-রুটি ও সবজি। যা বাকি কয়েদিদের জন্য বরাদ্দ হয়ে থাকে। তবে, বাকিদের মতো মাটিতে শুয়ে নয়, অনুব্রত মণ্ডলের রাত কেটেছে ছোট্ট খাট আর ফ্য়ানের হাওয়া খেয়ে। এরমধ্যেই জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের প্রশ্ন আসানসোল সংশোধনাগারে কী কোমড আছে ? তা না থাকলে কিন্তু বেশ চিন্তার ব্যাপার। কারণ, কমোডহীন শৌচাগার হলে অনুব্রত মণ্ডলের কাছে বেশ চিন্তার ব্যাপার। কিন্তু জেল সূত্রে খবর, গোটা সংশোধনাগার চত্বরে একটিও কমোড অর্থাৎ পশ্চিমী ধাঁচের শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই। যা প্রথম রাতেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে কেষ্ট মণ্ডল ঘনিষ্ঠদের।
গরুপাচার তদন্ত মামলায় বুধবার তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। রাজ্য়ে প্রায় হেভিওয়েট কোনও না কোনও সময়ে হয় আলিপুর না হলে প্রেসিডেন্ট কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারেই থেকেছেন। এক্ষেত্রে অবশ্য ব্যতিক্রম অনুব্রত মণ্ডল। সিবিআইয়ের দাবি, কলকাতা-আসানসোল এই দূরত্বের কথা মাথায় রেখেই বীরভূমের প্রভাবশালী অনুব্রত মণ্ডলকে স্থানীয় বিশেষ সংশোধনাগারে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অনুব্রত বরাবরই তাঁর শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়ে এসেছেন সিবিআইকে। শ্বাসকষ্ট, মধুমেহ রোগের মতো সমস্যার পাশাপাশি অর্শের সমস্যাতেও ভোগেন তিনি। যার জন্য নানা সাবধানতা মেনে চলতে হয় বীরভূমের তৃণমূল নেতাকে। বুধবার অনুব্রতের এই শারীরিক সমস্যার কথা মাথায় রেখেই সিবিআই আদালতের বিচারক তাঁকে সবরকম ওষুধ এবং শ্বাসকষ্ট প্রশমনের যন্ত্র জেলে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন।
আসানসোল সংশোধনাগারের হাসপাতালের মধ্যে দুটি ঘর রয়েছে। তার একটি ঘরে রাখা হয়েছে অনুব্রতকে। আদালতের নির্দেশে তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। এই ঘরের একটির সঙ্গে লাগোয়া রয়েছে শৌচাগার। যা ভারতীয় ধাঁচের। আর এটাই এখন চিন্তার কারণ কেষ্ট ঘনিষ্ঠদের। কারণ, পশ্চিমি ধাঁচেই তিনি অভ্যস্থ। ভারতীয় ধাঁচে সবকিছু ঠিকঠাক হবে কীনা, তা নিয়ে প্রথম রাত থেকে চিন্তা বাড়ছে।