বালির তৃণমূল নেতা তপন দত্ত খুনের(Tapan Dutta Murder Update) ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)। সিআইডিকে তদন্তের সমস্ত নথি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার(Rajasekhar Mantha)। তদন্ত এবং গোটা বিচারপক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর এই মামলায় নতুন করে সিবিআই তদন্তের(CBI Investigation) নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
এবিষয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য(Bikash Ranjan Bhattacharya) বলেন, "যুক্তিসঙ্গত রায়। এই রায়ের জন্য অনেকদিন লড়াই করতে হয়েছে। অপরাধীরা দীর্ঘদিন মামলা ঠেকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে। এই রায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল।" আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়(Sabyasachi Bhattacharya) বলেন, "এই লড়াইয়ের একটা ধাপ জয় যুক্ত হয়েছি। আমরা চাই প্রকৃত দোষীরা গ্রেফতার হোক। সিবিআই তদন্ত করুক।'' অন্যদিকে, প্রয়াত নেতার স্ত্রী প্রতিমা দত্তের প্রশ্ন, "আমার যা ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতিপূরণ কে দেবে?''
২০১১ সালের ৬ মে খুন হয়েছিলেন বালির পরিবেশবিদ তথা তৃণমূল কর্মী তপন দত্ত (Tapan Dutta Murder Case)। জলাভূমি ভরাটের প্রতিবাদ করায় তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই খুনে কাঠগড়ায় ওঠে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই। খুন হওয়া তৃণমূল কর্মীর স্ত্রী প্রতিমা দত্তর করা এফআইআরে নাম ছিল রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায়-সহ(TMC Leader Arup Roy) ১৩ জন তৃণমূল নেতা-কর্মীর। তদন্তভার গ্রহণ করেছিল সিআইডি। কিন্তু ১১ বছর পেরিয়ে গেলেও মেলেনি সুবিচার।
সিআইডি তদন্তের পর জানায়, জলাজমি ভরাটের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন বলেই তপনবাবুকে(Tapan Dutta Murder Update) খুন হতে হয়েছে। ২০১১ সালের ৩০ অগস্ট সিআইডি মামলার চার্জশিট পেশ করে। পরে নিম্ন আদালত ৫ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয়। কিন্তু ২০১৭ সালে কলকাতা হাই কোর্ট নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয়। অভিযুক্তরা পাল্টা সুপ্রিম কোর্টের(Supreme Court) দ্বারস্থ হয়। শীর্ষ আদালতও হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে এবং হাই কোর্টকে দ্রুত মামলাটি নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেয়। বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চকে একমাসের মধ্যে এই মামলার নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিল। এরপরই এদিন সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট(Calcutta High Court)।