গরুপাচার কাণ্ডে পরোক্ষে অনুব্রত মণ্ডলের উপরই চাপ বাড়াচ্ছে ইডি ও সিবিআই। বুধবার টানা ১০ ঘণ্টা অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পাথর ব্যবসায়ী টুলু মণ্ডলের বাড়ি তল্লাশি চালায় তদন্তকারী আধিকারিকরা। পাশাপাশি তল্লাশি চালানো হয় পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল করিম খান ও সহযোগী জিয়াউল হক শেখের বাড়িতেও।
অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে সিবিআই। গরুপাচার ও কয়লাপাচার কাণ্ডে তার নাম জড়িয়েছে। সূত্রের খবর, এই সায়গলের ঘনিষ্ঠ টুলু মণ্ডল। বুধবার তল্লাশি শেষে কী পাওয়া গেল, তা নিয়ে মুখ খোলেনি কেন্দ্রীয় সংস্থা। তবে সূত্রের খবর, তার বাড়ি থেকে একাধিক সম্পত্তির দলিল, দামী গাড়ির কাগজপত্র, ৪০টির বেশ ডাম্পারের নথি, বেশ কিছু অ্যাকাউন্টের নথি, টাকা লেনদেনের কিছু নথি ও নগদ অর্থ পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্স নিয়ে নতুন নির্দেশিকা রাজ্যের, দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯
গরুপাচার মামলায় সিবিআই ও ইডির তরফে কলকাতা ও বীরভূম মিলিয়ে মোট ১৩ জায়গায় অভিযান চালানো হয়। মোট ৩ জনের বাড়িতে তল্লাশি চলে। ওই তিনজনের বাড়ি থেকে ১৭ লাখ টাকা, ১০টি মোবাইল ফোন ও লকার চাবি ও পেনড্রাইভ উদ্ধার করেছে ইডি। মনে করা হচ্ছে, ওই টাকা গরুপাচারের টাকা।
জানা গিয়েছে, বীরভূমের সিউড়িকে মোট ৩টি বাড়়ি আছে টুলু মণ্ডলের। মহম্মদবাজারে পেট্রল পাম্পের মালিক তিনি। শোতসল পাথর খাদান এলাকায় অফিস। সব জায়গাতেই বুধবার হানা দেয় পুলিশ। তল্লাশি অভিযানের সময় ইডি আধিকারিকরা এক পরিচারিকারেকও সঙ্গে নেন। তালাবন্ধ ছিল টুলু মণ্ডলের বাড়ি। তালা ভেঙে সেই বাড়িতে ঢোকেন আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে খবর, টুলু মণ্ডলের সুভাষপল্লির বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলি বাজেয়াপ্ত করেছেন ইডি আধিকারিকরা। টুলু মণ্ডলের পেট্রল পাম্পও সিল করে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার টুলু মণ্ডলের বাড়ি ছাড়াও, আব্দুল করিম খানের বাড়িতেও হানা দেয় ইডি ও সিবিআই। নানুরের বাসপাড়া এলাকায় বাড়ি জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের। অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত আব্দুল করিম খান। পাশাপাশি তৃণমূল নেতা মোক্তার শেখের বাড়িতেও হানা দেয় ইডি।