দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে আক্রান্ত কুলতলির প্রাক্তন বিধায়ক রামশঙ্কর হালদার সহ সিপিএমের একাধিক কর্মী-সমর্থক। ঘটনার জেরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বকুলতলার গড়দেওয়ানি পঞ্চায়েতের গাজিপাড়া মোড়। সিপিএমের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান হারুন মোল্লার নেতৃত্বে এই হামলা চলে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় গুরুতর জখম হন সিপিএম নেতা রামশঙ্কর হালদার সহ অন্যান্যরা। তাঁদের তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় নিমপীঠ রামকৃষ্ণ গ্রামীণ হাসপাতালে। ঘটনার খবর পেতেই এলাকায় যান প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিএম নেতা কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সুজন চক্রবর্তী। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ঘটনায় ফের চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। যদিও -তৃণমূলের জয়নগর দু'নম্বর ব্লকের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি শাহাবুদ্দিন শেখ পুরো বিষয়টিকেই ভিত্তিহীন এবং বিরোধীদের অপপ্রচার বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
রামশঙ্কর হালদার জানান, জয়নগরের গড়দেয়ানি অঞ্চলে অঞ্চল সম্মেলনের জন্য ঘোষিত কর্মসূচি ছিল। কিন্তু সিপিএমের অভিযোগ, মিছিল শুরু হতেই হামলা চালায় শাসক দলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা। বিধায়কের নেতৃত্বে মিছিলে হামলা চালানোর পাশাপাশি পুলিশের সামনেই প্রাক্তন বিধায়ককে রাস্তায় ফেলে কিল-চড়-লাথি-ঘুষি চালানো হয় বলে অভিযোগ বা কর্মীদের।
২০২১ সালেও তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য। খড়দার রহড়ায় পার্টি অফিস ঢোকার মুখেই তাঁকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়া হয়। ঘটনার জেরে গুরুতর জখম হন তিনি। তারপর পঞ্চায়েত ভোটের মুখেই ফের এই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে চাপানউতোর সৃষ্টি হয়েছে।