বাংলায় বিজেপির উথ্থান তাঁর হাত ধরেই । একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। রাজ্য বিজেপির সভাপতি ছিলেন । তারপর সেখান থেকে বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি । ২০২৩-এ সেই পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয় তাঁকে । শুধু সঙ্গে ছিল সাংসদের তকমা । কিন্তু, ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর সেই পদও হারালেন দিলীপ ঘোষ । বর্তমানে 'দায়িত্বহীন' দিলীপ । কিন্তু, এভাবে বেশিদিন তিনি থাকতে পারবেন না । দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, কোনও দায়িত্ব না পেলে এবার রাজনীতিকে টাটা বাই বাই করে দেবেন
তিনি ।
আনন্দবাজার অনলাইনকে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি অন্য কারও মতো 'প্রাক্তন'-এর পরিচয় নিয়ে কাজ করতে পারবেন না । একটা সময়ের পরে তো সিদ্ধান্ত নিতেই হবে । রাজনীতি ছাড়াও সমাজের অনেক কাজ রয়েছে । তাহলে কী রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলেছেন ? দিলীপ জানিয়েছেন, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে । রাজ্যেও কিছু পরিবর্তন হতে পারে। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন । সেটা দেখেই তিনি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন । তবে দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বেশিদিন তিনি এভাবে বসে থাকতে পারবেন না ।
লোকসভা নির্বাচনে এবার বর্ধমান-দুর্গাপুর থেকে দাঁড়িয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ । কিন্তু, কীর্তি আজাদের বিরুদ্ধে হেরে যান বিজেপি নেতা । মেদিনীপুর থেকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে তাঁকে পাঠানোর পর দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশও করেন । কিন্তু, দলের দেওয়া দায়িত্ব পালন করে গিয়েছিলেন তিনি । দিলীপ স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, দল যা দায়িত্ব দেবে, তা তিনি পালন করার চেষ্টা করবেন । কিন্তু কোনও দায়িত্বই যদি না থাকে, তাহলে তিনি রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে অন্য কাজে মনোনিবেশ করবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ।