চুঁচুড়ার সিংহীবাগানের বাসিন্দা ইতি বিশ্বাসের সংসার চলে পাঁপড় ভাজা আর ঝালমুড়ি বিক্রি করে৷ খানিকটা বাড়তি রোজগার হয় ১০টি গৃহপালিত হাঁসের ডিম বিক্রি করে। শনিবার ৩টি হাঁসের 'অস্বাভাবিক' মৃত্যুতে অথৈ জলে পড়েছেন তিনি৷ তিথির সন্দেহ, হাঁসগুলিকে খাবারে বিষ মিশিয়ে হত্যা করা হয়েছে৷
কেন তাঁর হাসগুলির মৃত্যু হল তা জানতে চেয়ে প্রথমে পঞ্চায়েত সদস্য, ওরে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি৷ কিন্তু খুব গুরুত্ব পাননি৷ এরপর বিষয়টি জানতে পেরে জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ নির্মাল্য চক্রবর্তী নিজে উদ্যোগী হয়ে পুলিশের কাছে ডায়েরি করার ব্যবস্থা করেন। এরপর তাঁর উদ্যোগেই হাঁসগুলির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কলকাতার বেলগাছিয়া স্টেট ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।
ওই মহিলার অভিযোগ, শনিবার হাঁসগুলি সুস্থই ছিল। কিন্তু বিকেলে হাঁসেদের ঘর খুলে দেওয়ার পরেই তিনি দেখেন, তিনটি হাঁস ছটফট করছে৷ খানিকক্ষণ পরে তারা মারা যায়৷ হাঁসেদের খাওয়ার জন্য মুড়ি রেখেছিলেন তিথি৷ সেই প্যাকেটে কটু গন্ধ পান তিনি। তিথি জানিয়েছেন, এক পড়শির সঙ্গে মাস ছয়েক আগে ঝামেলা হয়েছিল। তবে প্রমাণ না থাকায় তিনি কারও নামে অভিযোগ করেননি।
তিথির স্বামী রোগশয্যায়। ছেলের দুরারোগ্য ব্লাড ক্যানসার। হাঁসেদের মৃত্যুর কারণ জানতে তিনি বদ্ধপরিকর।