আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে DYFI-এর মিছিল ঘিরে বুধবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল দুর্গাপুর । সিপিএমের কার্যালয়ে ভাঙচুর এবং বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে । ঘটনায় ২০ থেকে ২৫ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে । তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা । ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালেই শহীদ বিমল দাশগুপ্ত ভবনে পৌঁছলেন ডিওয়াইএফআই এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় । ওই ভবনেই দফায় দফায় হামলার অভিযোগ উঠেছে । গোটা ঘটনার পিছনে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন মীনাক্ষী । একইসঙ্গে তাঁর দাবি, আন্দোলন দেখে ভয় পেয়েছে রাজ্য । তাই, এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল ।
বুধবার ছিল বিজেপির বাংলা বনধ । ওইদিনই দুপুরে দুর্গাপুরের ডিএমসি মোড় থেকে সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত একটি মিছিল ছিল ডিওয়াইএফআই-র । এদিকে, বিজেপির বনধের বিরোধিতা করে ওই রাস্তাতেই মিছিল করছিল তৃণমূল । অভিযোগ, কর্পোরেশন মোড়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয় । তারপরই মিছিলে বাম কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে । ছোড়া হয় বোমা, ইট । মুহুর্মুহু বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা । শহীদ বিমল দাশগুপ্ত ভবনে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে । ভাঙচুর চালানো হয় বাইকে । সংঘর্ষের জেরে আহত হন বহু বাম কর্মী ও সমর্থক । কারও মাথা ফেটে যায়, কারও হাত ভাঙে । সংঘর্ষে রক্ত ঝড়ে একাধিক কর্মীর ।
ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সন্ধেবেলায় দুর্গাপুরে দলের পার্টি অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান সিপিএম নেতা-কর্মীরা । এদিন সকালে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শহীদ বিমল দাশগুপ্ত ভবনে যান মীনাক্ষী । দলের সদস্যদের সঙ্গে কিছুক্ষণ বৈঠক করেন । তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী চরম অমানবিক ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন । প্রতিবাদীদের আয়াজে ভয় পেয়েছেন । তারপর আবার দলের গুন্ডাদের রাস্তায় বের করে দিয়েছেন । নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে কোনও আন্দোলন থামবে না । বৃথাই প্রচেষ্টা করছে । ভয় পেয়েছে । তাই ভয় দেখাচ্ছে । '