বালুরঘাটের নিউটাউন ক্লাবে এবারের দুর্গাপুজোয় থিম বুর্জ খালিফা। ৮০ ফুট উচ্চতার এই মণ্ডপ তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে জোরকদমে। এই পুজো উদ্বোধন করার পরিকল্পনা রয়েছে মিঠুন চক্রবর্তীর। পুজো উদ্বোধন ছাড়াও রবিবার বেশ কিছু দলীয় বৈঠকে অংশ গ্রহণ করার কথাও রয়েছে তাঁর। এদিকে বালুরঘাট সার্কিট হাউসে থাকার অনুমতি পেলেন না মিঠুন চক্রবর্তী। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চাপানউতর। বাধ্য হয়ে মালদহের একটি হোটেলে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রেরও আঁচ পাচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
শুক্রবার রাজ্যে এসেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। শনিবার কলকাতায় বিজেপির বৈঠক সেরে পরিকল্পনা মাফিক কলকাতা থেকে মালদহের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। আগামিকাল, রবিবার বালুরঘাটে বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বেশ কিছু দলীয় বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর। এছাড়াও রবিবার বিকেলে বালুরঘাটের পাওয়ার হাউজ এলাকায় নিউ টাউন ক্লাব ও পল্লী পাঠাগার এর দুর্গাপূজার মণ্ডপও উদ্বোধন করার পরিকল্পনা রয়েছে এই অভিনেতার।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই অভিনেতার রবিবার ভোরে পৌঁছে সার্কিট হাউসে ওঠার কথা। কিন্তু রুম না পাওয়াও তিনি মালদার বেসরকারি রিসোর্ট গোল্ডেন পার্কে উঠবেন। সেখান থেকেই বালুরঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। মিঠুনের সার্কিট হাউসে থাকার অনুমতি না পাওয়া ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, সরকারি আধিকারিকরা তৃণমূলের দলদাস হয়ে গিয়েছেন। সেই কারণেই ঘর দেওয়া হয়নি অভিনেতাকে।
অন্যদিকে বিজেপির সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, ' সার্কিট হাউসে ঘর পাওয়ার বিষয়টা পুরোপুরি সরকারি। গোটা পক্রিয়া প্রশাসন দেখে। সরকারি নিয়ম মেনে আবেদন করতে হয়। বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। আর মিঠুন চক্রবর্তী আসছে দলের কাজের জন্য। দলের কাজে ব্যবহার করার জন্য সার্কিট হাউস নয়।'
যদিও ক্লাব সম্পাদক অরিজিৎ মহন্ত জানান, 'ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে মিঠুন চক্রবর্তীর জন্য সার্কিট হাউসে থাকার আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আবেদনের চার দিন পর গতকাল রাতে হঠাৎ করে প্রশাসন জানায় সার্কিট হাউজ বুকিং থাকায়, আবেদন বাতিল করা হয়েছে।'