মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একাধিক ফ্ল্যাট থেকে যখন বিপুল পরিমাণে টাকা ও সোনার অলঙ্কার উদ্ধার নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার যথেষ্ট বিড়ম্বনায়, তখন মহারাষ্ট্রে (Maharastra) উদ্ধব ঠাকরে সরকারের পতনের প্রসঙ্গে টেনে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)।
বুধবার কলকাতায় হেস্টিংসে বিজেপির রাজ্য কার্যালয়ে বিশেষ বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। সেই বৈঠকে তিনি দাবি করেন রাজ্যে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাঁর সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখছেন। মিঠুনের সেই বক্তব্য নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে।
Abhishek Banerjee:বৃহস্পতিবার বিকেলে বৈঠক ডাকলেন অভিষেক, পার্থর বিরুদ্ধে আজই ব্যবস্থা?
পরে সাংবাদিক বৈঠকে মিঠুন বলেন, “কিছুদিন আগেই ঘুম থেকে উঠে দেখলাম মহারাষ্ট্রে সরকার গড়েছে শিব সেনা আর বিজেপি। কে বলতে পারে এখানেও (পশ্চিমবঙ্গ) তেমনটা হবে না! স্বচ্ছ নির্বাচন হলে কালই বিজেপি বাংলায় সরকার গড়বে।’’ যদিও তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ মিঠুনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “উনি মাঝে মধ্যে কোনও কারণে শহরে আসেন। কখনও কখনও প্রচারের আলোয় ভেসে ওঠার শখ হয়। তিনি অনেক কথাই বলে থাকেন। এক বছরের মধ্যে আবার ভোট? ভাবছেন কী মশাই?’’
উল্লেখ্য, গত আড়াই বছর ধরে মহারাষ্ট্রে শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেসের জোট সরকার চলছিল। সম্প্রতি শিবসেনার একনাথ শিণ্ডে সহ সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়ক উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রীর আসন ছাড়তে বাধ্য হন। তাঁর সরকারের পতন হয় এবং বিজেপি ও একনাথ শিণ্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ে। বুধবার মিঠুন চক্রবর্তী সেই ঘটনার প্রসঙ্গে টেনে বাংলাতে এমনটা ঘটতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন। যদিও এই প্রসঙ্গে ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “ওরা (বিজেপি) ভাবছে, মহারাষ্ট্র ভেঙেছি বাংলাকেও ভাঙব ৷ বাংলাকে ভাঙা সহজ নয়।’’
উল্লেখ্য, ২৯৪ আসন বিশিষ্ট পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ম্যাজিক ফিগার ১৪৮। বর্তমানে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২১৭। তার সঙ্গে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ৫ বিধায়ককে নিয়ে সংখ্যাটা ২২২। সেক্ষেত্রে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭০। অতএব সরকার গঠন করতে হলে তাদের লাগবে আরও ৭৮ জন বিধায়ক। তৃণমূল ভাঙিয়ে এতজন বিধায়ক বিজেপি জোগাড় করতে পারবে কি না সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।