তপন কান্দু খুনে(Tapan Kandu Murder Update) সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য। পাঁচ পুলিশকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই জানতে পেরেছে ঘটনার দিন খুব কাছে থাকলেও তপনকে বাঁচাতে যাননি কোনও পুলিশকর্মী।
জানা গেছে, তপন কান্দু খুনের(Jhalda Murder Update) দিন ঘটনাস্থলের ৪০০ মিটার দূরেই ছিল পুলিশের আরটি ভ্যান। কিন্তু সব জেনেও দায়িত্বে থাকা সাব ইন্সপেক্টর সেখানে যাননি। এমনকি বাকি সদস্যদের যেতেও বারণ করা হয়। হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। সিবিআই(CBI) কর্তাদের মতে, তড়িঘড়ি কংগ্রেস কাউন্সিলরকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে বাঁচানো যেত। আরও জানা গেছে, পুলিশ যদি সঙ্গে সঙ্গেই ওই এলাকায় যেত, তবে হাতেনাতে ধরা যেত দুষ্কৃতীদেরও। তবে কী কংগ্রেস কাউন্সিলরের মৃত্যু নিশ্চিত করা এবং দুষ্কৃতীদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করার জন্য কোনও রাজনৈতিক চাপ(Political Pressure on Jhalda Policemen) কাজ করেছিল পুলিশের ওপর? এরকম নানান প্রশ্ন ভাবাচ্ছে সিবিআইকে।
আরও পড়ুন- Rampurhat Genocide: ভাদু শেখ খুনে ধৃত পাঁচ অভিযুক্তের চারদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ আদালতের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ ঘুরতে বেরিয়ে খুন হন পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন(Jhalda Congress Councillor Murder)। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বন্ধু নিরঞ্জন। স্থানীয়দের দাবি, মঙ্গলবার রাতে বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের অন্যতম প্রধান সাক্ষী নিরঞ্জন। বুধবার ভোরে বাড়ি ফেরেন। তারপর ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
ঝালদা পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর (Congress Councillor) তপন কান্দু (Tapan Kandu) খুনের ঘটনায় পুলিশের ওপরেই বারবার অভিযোগ উঠছিল। তপনের ভাইপো মিঠুনের সঙ্গে আইসি সঞ্জীবের কথোপকথনের অডিও প্রকাশ্যে আসে। বৃহস্পতিবার থানার দায়িত্ব থেকে আইসি সঞ্জীব ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হয়।