প্রবল তাপপ্রবাহে পুড়ছে গোটা বঙ্গ! দক্ষিণের বিস্তীর্ণ এলাকায় দিনের পর দিন কোনও বৃষ্টি নেই! তীব্র দাবদাহে এবার পুরুলিয়া মৃত্যু হল এক গর্ভবতী মহিলার। জানা যায়, পুরুলিয়া শহরে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন পুঞ্চার ন'পাড়া গ্রামের বাসিন্দা চৈতালি মাহাতো।কিন্তু চিকিৎসার আগেই সানস্ট্রোকে মৃত্যু হল তাঁর। মৃতার স্বামী মনোজ মাহাতো জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে স্ত্রী'র চিকিৎসা করাতে এসে রোদে কিছুটা ঘুরতে হয়েছিল তাঁদের। এরপর খাওয়ার জন্য একটি হোটেলে যান তাঁরা। রোদে ঘুরে শরীর খারাপ লাগছিল চৈতালির। হোটেলে ঢুকেই হঠাৎ লুটিয়ে পড়েন তিনি। সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন তাঁকে। তবে হিটস্ট্রোক কি না, তা ময়নাতদন্তের পরই সরকারিভাবে বলা সম্ভব বলে জানান চিকিৎসকরা।
এই ঘটনায় ফের উদ্বেগ বেড়েছে রাজ্যের দাবদাহ পরিস্থিতি নিয়ে। এ নিয়ে চলতি গ্রীষ্মের মরশুমে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৪। চলতি সপ্তাহেই এই গরম থেকে রেহাই নেই। আর রাঢ়বঙ্গ তো কার্যত জ্বলছে। বৃহস্পতিবার এখানকার তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।
বৈশাখের শুরু থেকে তীব্র গরমে কার্যত হাসফাঁস দশা গোটা দক্ষিণবঙ্গের। উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া অবশ্য এতটা অসহনীয় নয়। সেখানে মাঝেমধ্যে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু টানা প্রায় ২ মাস হয়ে গেল দক্ষিণে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি নেই, কালবৈশাখী তো এখনও অনাগত। এদিকে তাপমাত্রার পারদ ক্রমশই চড়ছে। চল্লিশের মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে গত সপ্তাহ থেকেই। সুস্থ থাকার জন্য নানা পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।