RG কর কাণ্ডে আর্থিক দুর্নীতির সংক্রান্ত মামলার তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পাশাপাশি CBI-ও ওই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। তারা ইতিমধ্যে RG কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার সকাল থেকে ওই ঘটনার তদন্তে সক্রিয় হয়ে উঠল ED। তার মধ্যে সুভাষগ্রামের বাসিন্দা প্রসূন চট্টোপাধ্যায়কে আটক করা হয়েছে। তাঁকে কলকাতায় ED-র দফতরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এদিন সকালেই সন্দীপ ঘোষের বেলেঘাটার বাড়িতে পৌঁছন ED-র আধিকারিকরা। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলেন CISF জওয়ানরা। সকাল ৬টা ২৫ থেকে সন্দীপের বাড়ির বাইরে অপেক্ষায় থাকে ED । তালা বন্ধ থাকায় ঢুকতে পারেনি তারা। প্রায় ৩ ঘণ্টা পর সাড়ে ৯টা নাগাদ বাড়িতে ঢোকেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
শুধু সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে নয়, এদিন সকালেই আরও ৩ জনের বাড়িতে পৌঁছন ED আধিকারিকরা। তাঁরা প্রত্যেকেই RG করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের পরিচিত।
শুক্রবার সকালে হুগলির বৈদ্যবাটির এক বাসিন্দার বাড়িতে পৌঁছন ED আধিকারিকরা। তাঁর নাম কুণাল রায়। তিনি একটি ওষুধ সংস্থার কর্মী বলে জানা গিয়েছে। ED সূত্রে খবর, সন্দীপ ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় একাধিক নথি উদ্ধার হয়। সেখানে একটি ওষুধ সংস্থার নাম বারবার উল্লেখ রয়েছে। ওই সংস্থারই কর্মী কুণাল রায়।
এর পাশাপাশি চন্দননগরের পাদ্রিপাড়াতেও তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ED। সেখানেই রয়েছে সন্দীপ ঘোষের শ্বশুর রামকৃষ্ণ দাসের বাড়ি। যদিও ওই বাড়িতে কেউ ছিলেন না। তবে তল্লাশি চালানোর সময় বেশ কিছু নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সেখানে এয়ারপোর্ট ১ নম্বর গেট এলাকায় দুটি ফ্ল্যাটের হদিশ পায় ED। ওই দুটি ফ্ল্যাটের মধ্যে একটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি শুরু করেছেন তদন্তকারীরা।
এই দুটি এলাকা ছাড়াও হাওড়ার সাঁকরাইলের বাসুদেবপুর হাটগাছা এলাকায় একটি বাড়িতে হানা দেন ED আধিকারিকরা। ওই বাড়িটি বিপ্লব সিং-এর। তিনি ছিলেন RG করের ভেন্ডর এবং সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ। তাঁর নিজের ব্যবসা রয়েছে। ওই দোকানেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। পাশাপাশি ওই দোকানের হিসেব রক্ষক কৌশিক কোলের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়। এলাকার বাসিন্দাদের অনেকে জানিয়েছেন, তাঁদের এলাকার বাসিন্দা RG কর কাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছেন। সেই কারণে তাঁরা ব্যথিত।
এর পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ প্রসূন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সুভাষগ্রামে রয়েছে তাঁর বাড়ি। তিনি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ডেটা এন্ট্রি পদে কর্মরত ছিলেন। RG কর হাসপাতালের চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। সেখানে প্রসূনকে দেখা গিয়েছিল। ৯ অগাস্ট প্রসূন RG কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে কী করছিলেন সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তাঁকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে।