পঞ্চায়েত দখলে (Panchayet) মিলেমিশে একাকার তৃণমূল-বিজেপি (TMC-BJP)। তৃণমূলের প্রধান বিজেপির উপপ্রধান নির্বাচিত করে মালদা জেলার মানিকচকের মথুরাপুর পঞ্চায়েত ভাগাভাগি করল তৃণমূল বিজেপি। রাজ্যজুড়ে তৃণমূল-বিজেপি যখন একে অপরকে এক চিলতে জমি ছাড়তে নারাজ তখনই উল্টো চিত্র মথুরাপুর পঞ্চায়েতের প্রধান উপপ্রধান নির্বাচনে। উন্নয়নের স্বার্থে তৃণমূলের হাত ধরা বলে দাবি বিজেপি সদস্যদের।
মানিকচক ব্লকের অন্তর্গত মথুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত।১৯ আসন বিশিষ্ট এই পঞ্চায়েতে ২০১৮ এর নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিজেপি পঞ্চায়েত দখল করে। প্রধান হন বিজেপি সদস্য মিলন মন্ডল ও উপপ্রধান উত্তম কর্মকার। সম্প্রতি প্রধান উপপ্রধানকে অপসারণের পর বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত ভবন প্রাঙ্গণে নতুন প্রধান উপপ্রধান নির্বাচনের সভা অনুষ্ঠিত হয়। যাকে ঘিরে মানিকচক থানার আইসি অক্ষয় পালের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী গোটা এলাকা জুড়ে মোতায়েন ছিল। শান্তিপূর্ণ নির্বিঘ্নে পঞ্চায়েত গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তৎপর ছিল পুলিশ সহ প্রশাসনিক কর্তারা। মানিকচক ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে ১৩ জন পঞ্চায়েতের সদস্যর সমর্থনে প্রধান নির্বাচিত হন তৃনমূল সদস্য সাধনা মন্ডল উপপ্রধান নির্বাচিত হন বিজেপি সদস্য হরিদাস মণ্ডল। পঞ্চায়েত দখলে বিজেপি তৃণমূল কার্যত মিলেমিশে একাকার।
আরও পড়ুন: Trinamool Congress: ইন্ডিয়া গেটে নিষ্প্রদীপ নেতাজি মূর্তির 'অপমান', প্রতিবাদ তৃণমূল সাংসদদের
উন্নয়নের স্বার্থেই তৃণমূলের সাথে হাত মিলিয়ে পঞ্চায়েত গঠন করা হয়েছে বলে দাবি নির্বাচিত উপপ্রধান হরিদাস মন্ডলের। পাশাপাশি দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ মত বিজেপি কে সাথে নিয়ে পঞ্চায়েত গঠন হয়েছে বলে দাবি নবনির্বাচিত প্রধান সাধনা মন্ডলের।
ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক তথা তলবি সভার প্রিসাইডিং অফিসার অনুপম চক্রবর্তী জানান, পঞ্চায়েত আইনে যে সমস্ত নিয়ম রয়েছে তা মেনেই প্রধান উপপ্রধান নির্বাচিত হয়েছে। খুব শীঘ্রই প্রধান উপপ্রধানকে দায়িত্বভার বোঝানো হবে বলে জানান তিনি।
গোটা বিষয়ে বিজেপির মন্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ মন্ডল জানান, তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলানো বিজেপির চার সদস্যের বিরুদ্ধে দল কঠোর পদক্ষেপ নিবে। কেবলমাত্র নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতেই তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বিজেপি সদস্যরা।