সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন পুকুরে নিজের ফোন ছুঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বিরুদ্ধে । সিবিআই সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন শৌচালয়ে যাওয়ার নাম করে বাড়ির পিছনের পুকুরে নিজের দু'টি মোবাইল ছুঁড়ে ফেলে দেন । এরপর পাম্প দিয়ে পুকুরের জল ছেঁচে শুরু হয় মোবাইলের খোঁজ । সিবিআই সূত্রে খবর, গভীর রাত পর্যন্ত ফোনের খোঁজ চলেছে । কিন্তু, ফোন দু'টি এখনও উদ্ধার করা যায়নি ।
জানা গিয়েছে, ভোর রাতেই বিধায়কের বাড়িতে পৌঁছেছে সিবিআই-এর আরও একটি টিম । নতুন করে ৬ জন আধিকারিক সেখানে পৌঁছন । ফোনের তল্লাশি চলছে । বাড়ির পিছনের শৌচাগার ও বাগানে শুরু হয়েছে তল্লাশি । সিবিআই আধিকারিকদের অনুমান, ওই ফোন থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে পারেন তাঁরা । সিবিআই সূত্রে খবর, এই তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি -অফিসে তল্লাশি এবং তাঁকে জেরা করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা । সিবিআই সূ্ত্রে দাবি, সকাল থেকে প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের সহযোগিতা করছিলেন বিধায়ক । কিন্তু, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তদন্তকারীদের সঙ্গে চূড়ান্ত অসহযোগিতা করছেন বলে খবর ।
শুক্রবার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়ি হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সির তিন প্রতিনিধি। বিধায়কের অফিস-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়েছে। বাড়ির মূল দরজা বন্ধ করে চলছে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, ধৃত কুন্তল ঘোষকে জেরা করে স্থানীয় এজেন্ট বড়ঞার কোগ্রামের বাসিন্দা কৌশিক ঘোষের হদিশ পান তদন্তকারীরা। তাঁর থেকেই হদিশ মেলে জীবনকৃষ্ণের। পাশাপাশি কৌশিকের আত্মীয় অসিত ঘোষও জীবনকৃষ্ণের কৌশিক-জীবনকৃষ্ণ ঘনিষ্ঠতার কথা স্বীকার করে নেন ।