রাস্তা তৈরি হয়েছে এক মাস আগেই। কিন্তু এরই মধ্যে পিচ উঠে স্টোনচিপ বেরিয়ে গিয়েছে। রাস্তার এমন দশা দেখে রীতিমতো ক্ষুব্ধ বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কীর্তি আজাদ। ইঞ্জিনিয়ারকে ধমক দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর পকেটে স্টোনচিপও ভরে দেন।
মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের গলসির মনোহরপুর-সুজাপুরে গিয়েছিলেন সাংসদ। আগেই তাঁর কাছে অভিযোগ এসেছিল, ওই গ্রামের রাস্তার বেহাল দশা। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই ওই গ্রামে গিয়েছিলেন তিনি।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ওই গ্রামের রাস্তাটি এক মাস আগেই তৈরি হয়েছে। কিন্তু এই কয়েকদিনের মধ্যে ওই গ্রামের রাস্তার অবস্থা বেহাল হয়ে গিয়েছে। ওই রাস্তা দেখে অ্য়াসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে ডাকেন তিনি। জানতে চান, সুপারিনটেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার কি এই রাস্তা দেখেননি? যদিও এবিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেনি অ্য়াসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র। এবং তারপরেই ওই ইঞ্জিনিয়ারের পকেটে স্টোনচিপ ভরে দেন।
এরসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ তুলে ধরেন। সেখানেও প্রশ্ন তোলেন, সরকারের উদ্যোগ থাকার পরেও কেন সাধারণ মানুষকে কষ্ট পোহাতে হবে। পুরো পরিস্থিতি জানিয়ে জেলাশাসককেও তিনি চিঠি লিখবেন। এমনকি যে ঠিকাদার সংস্থা ওই রাস্তা তৈরি করেছে সেই সংস্থাকে দিয়েই ফের রাস্তা সারাই করারও নির্দেশ দেন।
স্থানীয়দের উদ্দেশে তৃণমূল সাংসদ বলেন, এলাকার যাবতীয় সমস্যার বিষয়ে তাঁকে জানাতে। এদিকে নবনির্বাচিত সাংসদের রনংদেহী এই ভূমিকায় খুশি গ্রামবাসীরাও।