প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ (TET Scam) দুর্নীতি মামলায় সিবিআই (CBI) তদন্তের নির্দেশের বিরোধিতা করে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছে রাজ্য সরকার। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে আগামী সোমবার মামলাটির শুনানি হতে পারে।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। ইতিমধ্যে গত সোমবার প্রাথমিক পর্ষদের সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করেছে সিবিআই।
TET Scam: ২৭৩ জনকে বাড়তি ১ নম্বর দেওয়া হয়েছিল, আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়ে জানাল প্রাথমিক পর্ষদ
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রাজ্যে প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। নিয়োগের জন্য ‘টেট’ হয় ২০১৫ সালের ১১ অক্টোবর। ফলপ্রকাশ হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। ওই বছরই প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশ করে প্রাথমিক পর্ষদ। ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রায় ২৩ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী ‘টেট’ দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৪২ হাজার প্রার্থীকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।
কিন্তু বেআইনি ভাবে দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, এই দাবিতে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন রমেশ আলি নামে এক ব্যক্তি। তাঁর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং সুদীপ্ত দাশগুপ্ত আদালতকে জানান, বেআইনি ভাবে দ্বিতীয় মেধা তালিকা প্রকাশ করার উদ্দেশ্য ছিল অতিরিক্ত প্রার্থীদের বেনিয়ম করে চাকরি পাইয়ে দেওয়া। দ্বিতীয় তালিকা থেকে শুধুমাত্র হুগলিরই ৬৮ জনকে চাকরি দেওয়া হয়। এরপর গত সোমবার মোট ২৬৯ শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
প্রাথমিকে অনিয়মের দুটি মামলার তদন্তের জন্য সিট গঠনের জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। সিটের সদস্যদের নাম আদালতের কাছে জানাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং এই তদন্ত চলাকালীন সিটের সদস্যরা অন্য কোনও মামলার তদন্ত করতে পারবেন না। এমনকি তাঁরা আদালতের অনুমতি ছাড়া এই মামলা ছেড়ে বেরিয়ে যেতেও পারবেন না। পুরো মামলার তদন্ত হবে আদালতের নজরদারিতে।