‘পরিকল্পনা মাফিক ষড়যন্ত্র’ ("PLANNED CONSPIRACY")।
উত্তরপ্রদেশের (UTTAR PRADESH) লখিমপুরে খেরির (LAKHIMPUR KHERI) কৃষক মৃত্যুর তদন্ত মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর এই দাবি করল বিশেষ
তদন্তকারী দল (SIT)। এদিন প্রকাশিত রিপোর্টে গত ৩ অক্টোবরের ঘটনা প্রসঙ্গে একথা জানিয়েছেন সিটের অফিসাররা। এই দাবির প্রেক্ষিতে ঘটনার মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার মন্ত্রী-পুত্র আশিস মিশ্রর বিরুদ্ধে সরাসরি খুনের মামলা দায়ের করতে চলেছে বিশেষ তদন্তকারী দল। দু'দিনের সফরে বারাণসীতে আছেন
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বছর ঘুরলেই দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা ভোট। তার আগে, লখিমপুর খেরির ঘটনা নিয়ে এদিন সিটের এই দাবিকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার পর এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রর ছেলে আশিস মিশ্রকে। চার কৃষক-সহ এই ঘটনায় প্রাণ হারান মোট আট জন।
আরও পড়ুন : মঙ্গলবার বারাণসীতে মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর https://cms.editorji.com/activity/updatescript?id=203439
গত নভেম্বর মাসে, লখিমপুরের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার বন্দুকের ফরেন্সিক রিপোর্টেও চাপে পড়েছিল অভিযুক্ত আশিস মিশ্র। রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ঘটনার দিন ওই
লাইসেন্সড আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি চালিয়েছিল অভিযুক্তরা। যদিও কেউ গুলিবিদ্ধ হননি সেদিন। কৃষকদের অভিযোগ ছিল, বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলেছে মন্ত্রী-পুত্র ও
তাঁর সঙ্গীর বন্দুক থেকে। মন্ত্রী-পুত্রের রাইফেল ও তার সঙ্গী অঙ্কিতের পিস্তল থেকে গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছিল। শেষমেশ ফরেনসিক রিপোর্টে
কৃষকদের সেই অভিযোগের সত্যতা মিলেছিল। আর এবার তদন্তকারী অফিসার বিদ্যারাম দিবাকরের রিপোর্টে দাবি করা হল, ওই ঘটনা পরিকল্পনা মাফিক ষড়যন্ত্র।
গত ৩ অক্টোবর লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের বিক্ষোভ চলাকালীন গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় চার কৃষকের। মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিশ
গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান প্রতিবাদীরা। চলে গণপিটুনিও। সেই হিংসাত্মক পরিস্থিতির মাঝে পড়ে প্রাণ হারান আরও ৪ জন। প্রসঙ্গত, লখিমপুর কাণ্ডে যোগী
আদিত্যনাথ সরকারের তদন্তের শ্লথ গতি নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজ্য পুলিশের তরফে জমা দেওয়া পরপর দু’টি ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ নিয়েও
বিস্তর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।
আর কয়েক দিনের মধ্যেই ভোট উত্তরপ্রদেশে। লখিমপুরের ঘটনায় আগেই চাপ বাড়িয়েছিল বিরোধীরা। কংগ্রেস আগেই দাবি তুলেছে, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীকে বরখাস্ত
করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে সিটের এহেন দাবি, বিরোধীদের হাতেই নতুন অস্ত্র তুলে দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।