ইনভেস্ট করে বিরাট ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে আপনাকে, যদি আপনি এই ৫টি বিষয় মাথায় না রাখেন।
চাকরিতে ঢোকার পর থেকেই সবাই বিনিয়োগ নিয়ে চিন্তা করেন। কোথায় বিনিয়োগ করলে বেশি রিটার্ন পাওয়া যাবে, কোথায় ঝুঁকি তুলনামূলক কম-এইসব বিষয়ে জানতে বিভিন্ন ওয়েবসাইট সার্চ করেন অনেকেই। এই প্রতিবেদনে আপনারা জানতে পারবেন বিনিয়োগ করে সফল হওয়ার জন্য ৫টি টিপস। যা আপনার বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সুবিধা হতে পারে।
কখন বিনিয়োগ শুরু করা উচিত?
বিনিয়োগে সফলতা লাভ একদিনে সম্ভব নয়। এবং বিনিয়োগ করে কম সময়ে রিটার্ন পাওয়া প্রায় অসম্ভব। সেই কারণে খুব কম বয়স থেকে বিনিয়োগ শুরু করা দরকার। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ,চাকরি পাওয়ার পর থেকেই বিনিয়োগ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা উচিত। কারণ অল্প বয়স থেকে বিনিয়োগ করলে অবসরকালীন সময়ে ভালো রিটার্ন পাওয়া সম্ভব।
চাহিদা অনুযায়ী বিনিয়োগ-
কোনও জায়গায় বিনিয়োগ করার আগে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে কী উদ্দেশ্যে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। অর্থাৎ কোনও গোল সেট করার পরই বিনিয়োগ শুরু করা উচিত। এর ফলে সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করতে সুবিধা হয়।
ইনভেস্টমেন্ট স্ট্র্যাটেজি-
শুধু বিনিয়োগ করলেই হয় না,ভাবনা-চিন্তা করে বিনিয়োগ করা সঠিক সিদ্ধান্ত। সেই কারণে সর্বপ্রথম স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা উচিত। প্রথমত সঞ্চয়ের পুরো অর্থ একটি জায়গায় না বিনিয়োগ না করে বিভিন্ন প্ল্যানে বিনিয়োগ করা উচিত। এর ফলে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক কম।
সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ-
যেখানে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছেন সেই প্ল্যান সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা থাকা দরকার। অর্থাৎ ওই প্ল্যানে ঝুঁকি কতটা, রিটার্ন কী পরিমাণ হতে পারে সেই বিষয়ে জানা দরকার।
ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ-
বর্তমানে অনেকেই MF এবং স্টকে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করছেন। কারণ একটাই, কম সময়ে বেশি রিটার্ন পাওয়া সম্ভব। কিন্তু মনে রাখা দরকার রিটার্ন বেশি হলেও এই খাতে বিনিয়োগ করলে প্রবল ঝুঁকি থাকে। ফলে বেশি বয়স হয়ে ওই খাতে বিনিয়োগ করা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। কারণ কোনও কারণে সূচক সেভাবে বৃদ্ধি না হলে রিটার্ন ভালো পাওয়া সম্ভব নয়। এমনকি লোকসানও হতে পারে।