"...আপনি মায়ের মতো। আমি কার কাছে নিজের কথা আর বলব? একটা ভালো বেতনের চাকরি আচমকা চলে গেলে কী হতে পারে, তা তো আপনি জানেন। বিশ্বাস করুন ম্যাডাম, আপনাকে এই চিঠি লিখতে গিয়ে আমার হাত কাঁপছে। চোখ ভরে উঠছে জলে..."। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট। তার আগেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে একটি খোলা চিঠি লেখেন পুনের এক বাসিন্দা। তাঁর নাম কার্তিক। নয়ডার একটি স্টার্ট-আপে চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। মাত্র একমাসের মধ্যেই প্রায় বিনা নোটিসে তাঁর সঙ্গেই ছাঁটাই হয়ে যান সংস্থার আরও প্রায় ৩০০ জন কর্মী। তারপরই দেশের অর্থমন্ত্রীকে একটি চিঠি লেখেন তিনি।
সেই চিঠিতে তিনি আরও লেখেন- "...আমার চাকরির শর্ত অনুযায়ী এই সংস্তা আমাকে এক মাসের বেতন দেবে। ই-মেলে লেখা আছে আজ সন্ধ্যার মধ্যে ল্যাপটপ সংস্থার কাছে জমা দিয়ে দিতে হবে। তার আগে, আমি আপনাকে এই চিঠি লিখতে বসেছি।
আমার বাবা বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন, বাড়িতে ছোট ভাই বোন আছে। আমি কোনওভাবে ঋণ নিয়ে বি.টেক পাশ করেছি। দিন দিন ঋণের উপর সুদের হার বাড়ছে। ফলে প্রতি ১-২ মাস অন্তর বাড়ছে ঋণের কিস্তিও। চাকরি ছাড়ার পর ব্যাঙ্কের টাকা কীভাবে শোধ করব বুঝতে পারছি না..."
তিনি আরও লেখেন-"এই চিঠি লিখতে গিয়ে আমার চোখের সামনে পরিবারের সদস্যদের মুখগুলো ভেসে উঠছে। আমি আর লিখতে পারছি না। আপনারা সবসময় বলেন, দেশের যুবসমাজই দেশের ভবিষ্যৎ। কিন্তু, আমরা কোথায় যাব? আমরা কী করব? আমাদের জন্য আসন্ন বাজেটে কোনও একটা পথ অন্তত বাতলে দিন। আমি ও আমার পরিবার প্রবল আশা নিয়ে আপনার দিকে চেয়ে আছি"।
কার্তিকের খোলা চিঠি প্রকাশ পাওয়ার পরেই আলোড়ন পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।