একদিন আগেই স্থগিত হয়েছিল আদানি এন্টারপ্রাইজ়েসের নতুন শেয়ার ছাড়ার (এফপিও) প্রক্রিয়া। কিন্তু বৃহস্পতিবারই আদানি গোষ্ঠীর অন্তত দু’টি সংস্থা আমেরিকায় তাদের বন্ডগুলিতে লগ্নিকারীদের কুপনের সাহায্যে ডলার মারফত নির্ধারিত মূল্য ফিরিয়ে দিল।
আদানি গোষ্ঠীর ‘প্রতারণা’ নিয়ে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্ট সামনে আসার পর থেকে তাদের শেয়ার দর ক্রমশ নিম্নমুখী। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকায় তাদের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আদানি পোর্টস এবং ‘স্পেশাল ইকনমিক জোন’ তাদের বন্ডগুলিতে কুপন রেটেই অর্থ দিয়েছে।
FPO প্রত্যাহারের পর আদানি গোষ্ঠীর তরফে জানানো হয়েছিল সমস্ত বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
শেয়ার বাজারে রক্তক্ষয়ের মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকার FPO বাজারে ছেড়েছিল আদানিরা। সেই শেয়ার পুরোপুরি বিক্রিও হয়ে গিয়েছিল।
গত কয়েক দিনে তাঁর সংস্থা বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। মার্কিন সংস্থা ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ’- (Hindenburg Research)-এর প্রকাশিত রিপোর্টের পর থেকেই বিপর্যয়ের মুখে আদানি গোষ্ঠী। তাঁদের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে। বলা হয়েছে, কৃত্রিম ভাবে আদানি গোষ্ঠী শেয়ার বাজারে নিজেদের দর বাড়িয়েছে।
সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর হু হু করে কমে গিয়েছে আদানিদের শেয়ারের দাম। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টকে ভিত্তিহীন দাবি করে ৪১৩ পৃষ্ঠার একটি জবাবও দিয়েছেন আদানিরা। শেয়ার বাজারে আদানিদের অবস্থার উন্নতি হয়নি ৪১৩ পৃষ্ঠার ওই জবাবের পরেও।