‘সানডে হো ইয়া মানডে, রোজ খাও আন্ডে’ জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনের এই ক্য়াচলাইন এখন বোধহয় আর মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের জন্য প্রযোজ্য নয়। কারণ রাতারাতি বেড়ে গিয়েছে ডিমের দাম। একই সঙ্গে দাম বেড়েছে চিকেনের।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে ক্রমশ বেড়েছে চিকেনের দাম। মে মাসের মাঝামাঝি নাগাদ বাজারে চিকেনের দাম পৌঁছে যায় ২৯০ টাকা প্রতি কেজি। তবে জুন মাসের প্রথম দিকে সেই দাম কিছুটা কমে। ১১ জুন চিকেনের দাম কমে কেজি পিছু দাঁড়ায় ২২০ টাকা। যদিও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। ১৮ জুন থেকে ফের দাম বাড়তে শুরু করে। ২১ তারিখের পরে দাম আরও বেড়ে যায়।
Belashuru : বক্স অফিসে বাজিমাত 'বেলাশুরু'-র, ২০২২ -এ রেকর্ড ব্যবসা এই ছবির
২২ জুন কলকাতার বিভিন্ন বাজারে ২৪৫ থেকে ২৫০ টাকা কেজি প্রতি দামে চিকেন বিক্রি হয়েছে। ২৪ জুন সেই দাম পৌঁছেছে ২৬০ টাকা প্রতি কেজি।
দাম বৃদ্ধির এই কারণ কী? ব্যবসায়ীরা বলছেন, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে মূলত বসিরহাট, আরামবাগ, সগুনা, বারুইপুর ইত্যাদি এলাকার হ্যাচারি থেকে চিকেন ও ডিম সরবরাহ করা হয়। গত এক মাসে প্রচণ্ড গরমে মুরগির প্রজনন এবং ডিমের উৎপাদন অনেকটাই কমে গিয়েছে। এর জেরে পাইকারি বাজারে চিকেনের দাম হয়েছে কেজি পিছু ২৪৮ টাকা। খুচরো বাজরে কেজি পিছু ১০ থেকে ১২ টাকা লাভে ব্যবসায়ীরা চিকেন বিক্রি করেন। ফলে চিকেনের দাম খুচরো বাজারে এখন কেজি পিছু প্রায় ২৬০ টাকা ছুঁয়েছে।
শুধু চিকেন নয়, একইসঙ্গে বেড়েছে ডিমের দাম। শুক্রবার বাজারে ডিমের দাম ১ টাকা বেড়েছে। এক্ষেত্রেও ব্যবসায়ীরা গরমে ডিমের উৎপাদন কমে যাওয়াই কারণ হিসেবে দাবি করছেন। খুচরো বাজারে ৫ জুন সাধারণ পোলট্রির ডিমের দাম ছিল ৬ টাকা। ১৬ জুন দাম বেড়ে হয় সাড়ে ছয় টাকা। ২৪ জুন ফের সেই দাম বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা। পাইকারি বাজারে এখন ডিমের দাম ৫ টাকা ৯০ পয়সা।