বিয়ে। দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে চুক্তিই এক ধরনের। তবে ভারতের মতো দেশে বিয়ে তো আর কেবল দুটো মানুষের মধ্যে হয়না। রীতিমতো উৎসব আয়োজন চলে কয়েক দিনের, তার প্রস্তুতি পর্বও বিশাল। যাকে বলে বিগ ফ্যাট ওয়েডিং। এই বিয়ের মরশুমে ৪৮ লক্ষ বিয়ে হবে এই দেশে। পরিসংখ্যান দিয়েছে Confederation of All India Traders (CAIT)।
নভেম্বর থেকে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে দেশজুড়ে বিয়ের রীতিমতো হিড়িক পড়েছে। এতে ফুলে ফেঁপে উঠছে ওয়েডিং ইন্ডাস্ট্রি। হিসেব বলছে, আনুমানিক ৬ লক্ষ কোটি টাকার ব্যাবসা হবে চলতি মরশুমের বিয়ে উপলক্ষে।
দুর্গাপুজো শেষ, দীপাবলীর পর্বও মিটে গিয়েছে। চলতি বছরের উৎসব বলতে আছে শুধুমাত্র খ্রিস্টমাস। তবে উৎসব মিটলেও চওড়া হাসি ব্যবসায়ীদের মুখে। কারণ নভেম্বর মাস মানেই বিয়ের মরশুম শুরু। চলতি মরশুমে বিয়ের কেনাকাটা ছাপিয়ে যেতে পারে বিগত বছরগুলিকে। এমনটাই ধারণা দিল্লির ব্যাবসায়ীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স বা CAIT-এর।
নভেম্বরের ১২ তারিখ থেকে হিন্দু বিয়ের দিন শুরু হচ্ছে। বিয়ের দিন রয়েছে ১২, ১৩,১৭, ১৮, ২২,২৩,২৫, ২৬,২৮ এবং ২৯ তারিখে। অন্যদিকে ৪, ৫, ৯, ১০, ১১, ১৪,১৫ এবং ১৬ ডিসেম্বর বিয়ের তারিখ রয়েছে। তারপর মাঝে প্রায় এক মাসের বিরতির পর ২০২৫ সালের জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকে বিয়ের দিন রয়েছে। যা শেষ হবে মার্চের শেষ সপ্তাহে। প্রায় ৫ মাসের বিয়ের মরশুমে সাড়ে ৪ লাখ বিবাহের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে CAIT। এর ফলে কেনাকাটাও শুরু হয়েছে জোরকদমে। সেখান থেকেই অনুমাণ, চলতি বিয়ের মরশুমে প্রায় ছয় লাখ কোটি টাকার ব্যবসা হবে গোটা দেশে।
CAIT-এর একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, বিয়ের মরশুমে যাঁরা কেনাকাটা করবেন তাঁরা মূলত ভারতীয় পণ্য কেনার জন্য ঝুঁকছেন। বিয়ের নির্ধারিত দিনগুলি ছাড়াও অন্য দিনগুলিতেও অনেক বিয়ে হয়। এছাড়াও এনগেজমেন্টও করেন অনেকে। সেই হিসেবে ট্রানজাকশনের পরিমাণও আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা।
বাইট
CAIT-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিয়েতে মূলত দুই ধরনের খরচ হয়। বিবাহ সংক্রান্ত বিভিন্ন সামগ্রী কেনাকাটায় এবং পরিষেবা সংক্রান্ত বিষয়ে। মোট খরচের মধ্যে ১০ শতাংশ অ্য়াপারাল, ১৫ শতাংশ গহনা, ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল পণ্য কেনাকাটায় ৫ শতাংশ, ড্রাই ফ্রুটস, মিষ্টি কেনায় ৫ শতাংশ খরচ হয়। অন্যদিকে বিয়ে বাড়ি ভাড়ায় ৫ শতাংশ, ইভেন্ট ম্যানেজম্যান্ট ৩ শতাংশ, টেন্ট ডেকরোশনে ৪ শতাংশ খরচ করা হয়। বিগত কয়েক বছর ধরে সোশাল মিডিয়াতেও খরচ করা হয় মোটা অঙ্কের টাকা।