২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যখন নোটবন্দি বা পুরনো নোট বাতিল (Demonitaization) করা হয়, তখন দাবি করা হয়েছিল যে, এর ফলে দেশে জাল নোটের পরিমাণ কমবে। কিন্তু সেই পদক্ষেপের ছয় বছর পর রিজার্ভ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অন্য কথা বলছে।
রবিবার তৃণমূলের (TMC) রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন (Derek O'Brien) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) উদ্দেশ্য করে টুইট করেন। টুইটে তিনি লেখেন,‘আপনি নোট বাতিলের জেরে জাল নোট পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে দাবি করেছিলেন। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সেই সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন। দেখুন এখন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট কী বলছে!’ এরপর টুইটে ডেরেক রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একটি রিপোর্টের ছবি পোস্ট করেন। সেখানে লেখা রয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবর্ষে জাল ৫০০ টাকার নোটের সংখ্যা বেড়েছে ১০১.৯ শতাংশ। অর্থাৎ দেশে এক বছরে ৫০০ টাকার জাল নোট দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে গিয়েছে। একইভাবে গত এক বছরে ২ হাজার টাকার জাল নোটের সংখ্যাও বেড়েছে প্রায় ৫৪.৬ শতাংশ।
রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য বলছে, শুধু ৫০০ আর ২ হাজার টাকার জাল নোট নয়, অন্যান্য নোটও জাল হচ্ছে। ২০০ টাকার জাল নোট বেড়েছে ১১.৭ শতাংশ। গত এক বছরে ১০ টাকার জাল নোটের সংখ্যা বেড়েছে ১৬.৪ শতাংশ। ২০ টাকার জাল নোট বেড়েছে ১৬.৫ শতাংশ।
রিজার্ভ ব্যাংকের তথ্য অনুসারে কেন্দ্রীয় সরকারের ক্যাশলেস ইকোনমির পরিকল্পনাও ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৬ সালে নোট বাতিলের আগে যেখানে বাজারে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ১৮ লক্ষ কোটির কাছাকাছি, সেখানে এখন বাজারে নগদের পরিমাণ প্রায় ৩১ লক্ষ কোটি। নোট বাতিলের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বাজারে নগদের জোগান কমিয়ে ইন্টারনেটের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ক্যাশলেস অর্থনীতি (Cashless Economy) হিসাবে ভারতকে গড়ে তোলা। বাস্তবে তা হয়নি।