দেশীয় শিল্পের জন্য ইস্পাতের জোগান বাড়াতে লৌহ আকরিক, পেলেট ইত্যাদির (Prime steel) রফতানি শুল্ক (Export Duty) কেন্দ্রীয় সরকার গত মাসে বৃদ্ধি করেছে। ফলে ওই সব পণ্যের রফতানি চলতি অর্থবর্ষে প্রায় ৪০ শতাংশ কমতে পারে ইঙ্গিত দিয়েছে উপদেষ্টা সংস্থা ক্রিসিল। শুল্ক বৃদ্ধির ফলে দেশে প্রাইম স্টিলের জোগান ইতিমধ্যেই বেড়েছে। শিল্প সূত্রের খবর, এতে দেশের বাজারে ইস্পাতের দাম কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। এর জেরে সুবিধা হয়েছে দেশের ইস্পাত পণ্য উৎপাদন শিল্পের।
সেল, জিন্দল স্টিল-সহ বিভিন্ন প্রাইম স্টিল সংস্থার অবশ্য দাবি, রফতানি শুল্ক বৃদ্ধির ফলে সমস্যায় পড়েছে তারা। সংস্থাগুলির কর্তারা গত সপ্তাহে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে দেখা করে এবিষয়ে আলোচনা করেন। ইন্ডিয়ান স্টেনলেস স্টিল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কে পি পাহুজা বলেন, ‘‘২০৩০ সালের মধ্যে ইস্পাতের উৎপাদন দ্বিগুণ করে ৩০ কোটি টনে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে বিপুল লগ্নির পরিকল্পনা করেছে প্রাইম স্টিল সংস্থাগুলি। কিন্তু রফতানি শুল্ক বৃদ্ধির জেরে লগ্নির পরিকল্পনা ব্যাহত হবে। ’’
তবে ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, বছর দেড়েক ধরে রফতানি বাড়িয়ে প্রাইম স্টিল সংস্থাগুলি ব্যাবসা বহুগুণ বাড়িয়েছে। এর ফলে দেশের বাজারে ইস্পাতের চড়া দামে সমস্যায় পড়েছিল ইস্পাতজাত পণ্য উৎপাদন সংস্থাগুলি। শ্যাম স্টিলের ডিরেক্টর তথা মার্চেন্ট চেম্বারের ইস্পাত সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান ললিত বেরিওয়াল বলেন, ‘‘লৌহ আকরিক, পেলেট, হট এবং কোলড রোলিং কয়েল ইস্পাতজাত পণ্যের কাঁচামাল। সেগুলির রফতানি বৃদ্ধির ফলে দেশের শিল্পের জন্য কাঁচামালের জোগান কমছিল এবং দাম বাড়ছিল। ফলে পরিকাঠামো, বাড়ি, গাড়ি তৈরির খরচ বাড়ছিল যা সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ।’’