ফেডারেশন এবং গিল্ড-এর সঙ্গে টলিউডের তরজা থামার নাম করছে না। একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। কেশসজ্জা শিল্পীর আত্মহত্যার চেষ্টা, একেরপর এক যৌন হেনস্থার অভিযোগে উঠেছে টেকনিশিয়ান, নির্মাতা, পরিচালকদের বিরুদ্ধে। ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, অভিযোগ উঠেছে এমনটাও। একাধিক কেশসজ্জা শিল্পীর অভিযোগ, তিন মাসের কর্মবিরতির পরেও গিল্ড এবং ফেডারেশন যৌথ ভাবে তাঁদের কাজ কেড়ে নিচ্ছে।
এর ফলে টলিউডের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা শিল্পীদের অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিয়েও উঠছে বড় প্রশ্ন। কাউকে কাউকে ধারদেনা করেও সংসার চালাতে হচ্ছে। ফেডারেশন জানিয়ে দেয় কাউকেই কর্মবিরতিতে পাঠানো হয়নি। এরপর সামনে সেই ‘কর্মবিরতি’র চিঠি সামনে নিয়ে আসেন অভিযোগকারীরা।
প্রথমবার এই ঘটনায় মুখ খুলেছেন টলিউডের অন্যতম সিনিয়র পরিচালক তথা অভিনেত্রী অপর্ণা সেন। পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি পোস্টের নিচে লম্বা কমেন্টে স্বরূপ বিশ্বাসকে নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তোলেন অপর্ণা।
কয়েকটি প্রশ্ন আছে, এই মর্মে অপর্ণা জানতে চান-
শ্রী স্বরূপ বিশ্বাস কি সিনেমা তথা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির কোনও টেকনিশিয়ান? যদি না হন, তাহলে শুধুমাত্র TMC’র পার্টি সদস্য হওয়ার সুবাদে কেমন করে তিনি এই ইন্ডাস্ট্রির ফেডারেশনের সভাপতি পদে বহাল থাকতে পারেন?
এরপর তিনি জানতে চান স্বরূপের সহকারী পরিচালকের কার্ড আছে কি না, থাকলে নিয়ম অনুযায়ী কোন দুটি ছবিতে তিনি সহকারী পরিচালকের কাজ করেছেন তাও জানতে চান।
তৃতীয় প্রশ্ন তুলে অপর্ণা জানতে চান, ‘সহকারী পরিচালকের কার্ড হাতে পাওয়ার পর থেকে তিনি আজ পর্যন্ত ক’টি ছবিতে কাজ করেছেন, এবং ছবিগুলির নাম কী?’
এছাড়াও ১৩ মাস কাজ না করলে কার্ড খারিজ হয়, স্বরূপের বেলায় এমন কিছু হয়েছে কি না সিনিয়র পরিচালক হিসেবে সেই প্রশ্নও তোলেন অপর্ণা।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে মুখ খুলতে দেখা যায়নি ফেডারেশন সভাপতিকে। তিনি কি আদৌ এর উত্তর দেবেন? এই প্রশ্নের উত্তরে আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি জানান, অপর্ণা সেন সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ্যে জানতে চেয়েছেন। সময় হলে তিনিও এর উত্তর সোশ্যাল মিডিয়াতেই দেবেন বলে জানিয়েছেন।
যদিও অপর্ণার মন্তব্যের পরেও একটা মিসর প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে নেটিজেনদের মধ্যে। নাম না করেই পরিচালক অনিক দত্ত লিখেছেন “বেটার নেভার দ্যান লেট”। আরজি কর ইস্যুতে প্রতিবাদে সামিল হয়েও ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন অপর্ণা।