এ রাগিণী ভুলো না, ভুলে যেও না...
বাংলা গান যতদিন থাকবে, এই গান মনে থেকে যাবে শ্রোতাদের মনে। পর্দায় যাকে এই গান গাইতে শুনেছিলেন মানুষ, মনে থেকে যাবে তাঁকেও। দেবরাজ রায়। মর্জিনা-আব্দুল্লার সেলিম দেবরাজ রায় প্রয়াত।
বৃহস্পতিবার রাতে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। দীর্ঘ দিন ধরেই কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। বিগত বেশ কয়েক বছর প্রচারের সব আলো থেকে দূরেই ছিলেন এককালের দাপুটে অভিনেতা। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তাঁর স্ত্রী অনুরাধা রায়ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী।
মঞ্চ, বড় পর্দা ছাড়াও বাংলা সংবাদ পাঠে তাঁর অবদান ভোলার নয়। দেবরাজ রায় শুধু তো একটা নাম নন। সাত-আটের দশকে কৈশোর-যৌবন কাটানো বাঙালির কাছে দেবরাজ রায় এক নস্ট্যালজিয়ার নাম। অভিনেতার আকস্মিক প্রয়াণের খবরে বৃহস্পতিবার রাতে যেন থমকে গেল সময়। নেটপাড়ায়, আলোচনায় বারবার উঠে এল তাঁর স্মৃতিচারণ।
১৯৭০ সালে সত্যজিৎ রায়ের প্রতিদ্বন্দ্বী ছবির মাধ্যমেই চলচ্চিত্র জগতে পা রাখা দেবরাজ রায়ের, তখন বয়স মাত্র ২০। এরপর নজর কাড়লেন মৃণাল সেনের কলকাতা ৭১-এ । তারপর একে তরুণ মজুমদার, বিভূতি লাহা, তপন সিংহ-দের পরিচালনায় কাজ করে সাড়া ফেলে দিলেন দেবরাজ।
তপন সিংহ-র ‘রাজা’ ছবিতে তাঁর অভিনয় দর্শক মনে রাখবেন আজীবন। ১৯৭৩-এ দীনেন গুপ্ত পরিচালিত ‘মর্জিনা আবদুল্লা’ ছবিতে মিঠু মুখোপাধ্যায়ের বিপরীতে তাঁর অভিনয় আরও জনপ্রিয় করেছিল তাঁকে। দেবরাজের প্রয়াণ নিঃসন্দেহে বাংলা ছবির ক্ষেত্রে এক যুগাবসান।