কলকাতার বুক থেকে ঐতিহ্য-বাঙালিয়ানা ক্রমশ মুছে যাচ্ছে। এই শহরের নামের সঙ্গে সমার্থক হয়ে ওঠা ট্রাম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বাতিল হয়ে যাচ্ছে আরও কত কিছু। আবার এসবের মাঝেই একমুঠো তাজা হাওয়ার মতো মন ভাল করা খবর আসছে। গ্লোবের পর শহরে নাকি ফিরছে বন্ধ হয়ে যাওয়া একাধিক সিনেমা হল।
পুজোর মুখে দু'দশক পর নতুন করে উদ্বোধন হল লিন্ডসে স্ট্রিটের এক সময়ের নামী সিনেমাহল গ্লোব। সেই মঞ্চ থেকেই পরিবেশক শতদ্বীপ সাহা জানিয়েছেন, আগামী দিনে ১০০ টি সিঙ্গল স্ক্রিন ফের নতুন করে ফিরিয়ে দিতে চান তাঁরা এই শহরকে।
মিত্রা, দর্পনা, রূপবাণী, ইলোরা, প্যারাডাইস... এগুলো কি শুধুই শহরের এক সময়ের দারুণ জনপ্রিয় সিনেমাহলের নাম? নাহ, এই সব সিঙ্গল স্ক্রিনের সঙ্গে জড়িয়ে শহর কলকাতার টুকরো টুকরো ইতিহাস, বাংলা ছবির স্বর্ণযুগ। পুরনো কোনওকিছুকেই কেন সংস্কার করা হবে না, পর পর শুধু একগুচ্ছ বাতিল হয়ে যাওয়ার সাক্ষী থেকে কেন শুধুই নস্ট্যালজিয়া আঁকড়ে বাঁচতে হবে শহরের প্রবিণ প্রজন্মকে? এই প্রশ্ন যখন কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে, তিলোত্তমার বড় অংশকে, তখনই শতদ্বীপদের প্রতিশ্রুতি নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে কলকাতাবাসীকে। দীপাবলির আগেই নতুন করে আবার কোনও বাতিল সিঙ্গল স্ক্রিন ফিরিয়ে আনা যায় কিনা, সেই ভাবনা ভাবা হচ্ছে।
শহরের বেশ কিছু সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা হল ভেঙে শপিং মল হয়ে গিয়েছে, সে সব হল আর নতুন করে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়, তবে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা বেশ কিছু হল আবার ফিরিয়ে আনার কথা ভাবা হয়েছে ইতিমধ্যে।
চলতি বছর পুজোয় বাংলার তিন তিনটি বিগ বাজেট ছবির রিলিজ। তার আগে শহরের অন্যতম নামী হল গ্লোব চালু হওয়ার খবরে উচ্ছ্বসিত বাংলা ছবির দর্শকরা।
২০০৪ সালে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল লিন্ডসে স্ট্রিটের এই গ্লোব সিনেমা হল। ২০ বছর পর ফের ওই প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখানো হবে। টেক্কা, শাস্ত্রী ও বহুরূপী তিনটি ছবিই গ্লোবের দুটো স্ক্রিনে মুক্তি পাচ্ছে।