ভালবাসার মানুষকে শেষবেলাতেও 'কাছ ছাড়া' করলেন না সব্যসাচী চৌধুরী। আর মাত্র কয়েক মুহূর্তের অপেক্ষা। তারপরেই ঐন্দ্রিলার নশ্বর দেহ পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যাবে। কিন্তু তার আগে ‘কাছের মানুষ’কে শেষবারের মতো প্রাণভরে দেখলেন সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলার কপালে নিজে হাতে পরিয়ে দিলেন চন্দনের টিপ। এমন দৃশ্যই ধরা পড়েছে এক ভিডিয়োতে। যা দেখে স্বভাবতই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন অসংখ্য মানুষ। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি এডিটরজি বাংলা।
দেখা গেছে, ক্যাওড়াতলা মহাশ্মশানে চুল্লির সামনেই শায়িত রয়েছে ঐন্দ্রিলার নিথর দেহ। পাশে ঠায় বসে রয়েছেন তাঁর 'জীবন যুদ্ধের সঙ্গী' সব্যসাচী। তারপর নিজের হাতেই ঐন্দ্রিলার কপালে চন্দনের টিপ পরিয়ে দেন তিনি। শেষযাত্রায় ঐন্দ্রিলাকে সাজানোর পর প্রেমিকার দু’পা ছুঁয়ে চুম্বনও করতে দেখা যায় অভিনেতাকে।
তিনি বলেছিলেন, নিজে হাতে করে নিয়ে এসেছি, যেতে হলে নিজের হাতেই দিয়ে আসব। তিনি কথা রাখলেন। আসলে সব প্রেমিকরা সব্যসাচী হতে পারে না। তা যেন ঐন্দ্রিলার জীবনের শেষবেলাতেও প্রমাণ দিয়ে গেলেন সব্যসাচী।
আরও পড়ুন- Aindrila Sharma: ঐন্দ্রিলার প্রয়াণে শোকস্তব্ধ, 'ওকে ফেরাতে পারলাম না' শোকে পাথর ঐন্দ্রিলার বাবা
শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ, হাওড়ার হাসপাতাল থেকে ঐন্দ্রিলার নিথর দেহ বের করে আনা হয়। আগেই হাসপাতালে ছিলেন সব্যসাচী চৌধুরী ও অন্য বন্ধুবান্ধবরা। আসেন ঐন্দ্রিলার বাবা ও মা। অভিনেত্রীকে শেষবার দেখতে অজস্র ভিড় তখন হাসপাতাল চত্বরে। এরপর দেহ নিয়ে কুঁদঘাটের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া হয়। রবিবার হাসপাতালে ঐন্দ্রিলাকে দেখতে যান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও টলিপাড়ার একাধিক কলাকুশলীরা। যান রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও।
বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ঐন্দ্রিলার বাড়িতে আসে তাঁর মরদেহ। অভিনেত্রীর অকালপ্রয়াণে পাড়া ও পরিবারে শোকের ছায়া। আইভরি টাওয়ারের বাইরে তখন উপচে পড়ছে অনুরাগীদের ভিড়। শেষবার দেখার জন্য ভিড় জমে যায় এলাকায়। কুঁদঘাটের বাড়ি ছেড়ে এরপর টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োতে যায় তাঁর মরদেহ। সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় তাঁকে। সাড়ে ছটা নাগাদ ক্যাওড়াতলা মহাশ্মশানে আনা হল ঐন্দ্রিলাকে। অনুরাগী ও সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য। রাত পৌনে আটটা নাগাদ শ্মশান থেকে বের হন ঐন্দ্রিলার পরিবার-পরিজনরা।