সপ্তাহ খানেক ধরেই পরিচালক-টেকনিশিয়ানদের মধ্যে মতবিরোধের জেরে টলিপাড়া স্তব্ধ। দিনের পর দিন শুটিং বন্ধ রয়েছে সমস্ত বাংলা ছবির। এই অবস্থায় সোমবার দুপুরে প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে বৈঠক করলেন টলিপাড়ার পরিচালকরা।
পরিচালকদের তরফে গৌতম ঘোষ, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়রা জানিয়েছেন তাঁরা অবিলম্বেই কাজ শুরু করতে চান। শুটিং বন্ধ রাখার পক্ষে তাঁরা নন। টেকনিশিয়ানদের কাজের ক্ষতি হোক, তা তাঁরা চান না। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মতে, ঘটনাটি এখন একই পরিবারের সদস্যদের মান-অভিমানে এসে ঠেকেছে।
বুম্বাদার বাইট।
কুণাল ঘোষের গল্প অবলম্বনেই বাংলাদেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ‘চরকি’তে তৈরি হওয়া 'লহু' সিরিজটি পরিচালনা করছেন রাহুল। সিরিজ়ের শুটিং হওয়ার কথা ছিল এ পার বাংলাতেই। খরচ বেশি হওয়ার কারণে শেষমেশ শুটিং হয় বাংলাদেশেই। ফেডারেশনকে না জানিয়ে রাহুল শুটিং করে এসেছেন বাংলাদেশেই। এই কারণ দেখিয়েই রাহুলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়, পরে সাসপেনশন তুলে নেওয়া হলেও টেকনিশিয়ানরা রাহুলের উপ্সথিতিতে কাজ করতে অস্বীকার করলেই স্টুডিও পাড়ায় অচলাবস্থা শুরু হয়েছিল।
তবে সোমবারের সাংবাদিক বৈঠকে গৌতম ঘোষ রাহুলের পক্ষে অথবা বিপক্ষে কোনও মন্তব্য না করে উল্লেখ করেন, ফেডারেশনের অনুমতি না নিয়ে অন্য দেশে শুটিং করতে যাওয়া বেআইনি কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে, এবং প্রয়োজনে পুরনো নিয়মে বদল আনতে হবে।
গৌতম ঘোষের বাইট
সোমবার সন্ধ্যে আটটার সময় পরিচালক এবং টেকনশিয়ানদের যৌথ বিবৃতির দিকে তাকিয়ে গোটা বাংলা।