সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, অভিনেতা-অভিনেত্রীদের খোলাখুলি আক্রমণ করা হচ্ছে । তাঁদের কাজ নিয়ে চলছে কাঁটাছেঁড়া । এর ফলে বহু নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা হতাশায় ভুগছেন । এই সমস্যার সমাধান কী ? মতামত জানাচ্ছেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya) ।
অনেক সময় দেখা যাচ্ছে, মঞ্চের অভিনেতাকে মঞ্চ ছেড়ে সিনেমায় দেখা গেলে, নেটমাধ্যমে তাঁদের নানারকম মন্তব্য শুনতে হচ্ছে । সেসব কলাকুশলীদের ‘জাতে ওঠা’, ‘উত্তরণ’ গোছের শব্দবন্ধে বেঁধে ফেলার চেষ্টা চলছে । এর ফলে অনেকেই হতাশায় ভুগছেন । এ প্রসঙ্গে অনির্বাণ এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "এটি অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। এক জন মঞ্চের অভিনেতা ভাল কাজ করলে, জনপ্রিয়তা পেলে, তাঁকে সিনেমায় আনা হয়। সিনেমায় ভাল করলে তিনি আরও বেশি মানুষের ভালবাসা পান । এতে কে প্রশংসা করল, আর কে করল না, সে সব ধর্তব্যের মধ্যেই আসে না । ঈর্ষাজনিত কারণে যদি কেউ কোনও মন্তব্য করে থাকেন, সেটাও প্রথাগত ভাবেই আসছে ।"
আর যদি এধরনের মন্তব্যে খারাপ লাগে, তাহলে নেটদুনিয়া ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছেন অভিনেতা । তাঁর কথায় একটা সময় খারাপ লাগাটা যদি ব্যাধি হিসেবে প্রকাশ করে, তাহলে তা সোশ্যাল মিডিয়ার জন্যই । এই প্ল্যাটফর্ম অভিনেতা-অভিনেত্রীদের বুনিয়াদ ধসিয়ে দিচ্ছে । কারণ, বহু অভিনেতা-অভিনেত্রী তাঁদের অভিনয়ের পিছনে যে শ্রমটা দিচ্ছেন, তার চেয়ে অনেক বেশি পরিশ্রম করছেন ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ইত্যাদি সাজাতে । ‘মন্দার’-এর অভিনেতা সাফ জানান, ভার্চুয়াল দুনিয়ার ফলোয়ার দিয়ে কিন্তু কাজ বিচার হবে না। ক্লোজ শটে কে কতটা নিখুঁত অভিনয় করতে পারছেন, দিনের শেষে সেটাই ধরা থাকবে।
উল্লেখ্য, পরিচালক হিসাবে অনির্বাণের প্রথম ছবি 'বল্লভপুরের রূপকথা' মুক্তি পাচ্ছে কালীপুজোয় । সম্প্রতি, সিনেমার টিজার মুক্তি পেয়েছে । আর টিজারেই বাজিমাত করেছেন অনির্বাণ । ১ মিনিট ২৯ সেকেন্ডের টিজারে আলো আঁধারি খেলা । অন্ধকার প্রাসাদের ভিতর ‘রঘুদা কোথায় আপনি’ ডাক যে অন্যরকম মেজাজ তৈরি করেছে সে বিষয়েও কোনও সন্দেহ নেই । মধ্যরাতে রাজবাড়ির ভৌতিক কাণ্ডের ঝলক মন ছুঁয়েছে সিনেপ্রেমীদের ।