এই তো বছরখানেক আগের কথা। ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারি ডোভার লেন মিউজিক কনফারেন্স মাতিয়ে দিয়েছিলেন উস্তাদ রাশিদ খান৷ অথচ বছর ঘোরার আগেই চলে গেলেন তিনি। রাশিদ তো কেবল কলকাতা বা বাংলার নয়, তিনি গোটা পৃথিবীর গর্ব। সুরসাধকের প্রয়াণে বিহ্বল গোটা বিশ্বের কোটি কোটি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের অনুরাগী৷ কিন্তু তাঁর নিজের পাড়ার যন্ত্রণা যেন আরেকটু বেশি। বহু দূরের নক্ষত্র হয়েও রাশিদ তো থাকতেই নাকতলাতেই৷ স্বজন হারানোর যন্ত্রণায় ভারী হয়ে আছে সেই এলাকা।
রাশিদ খানের পড়শি সুপ্রিয় গুহ এসে দাঁড়িয়েছিলেন প্রয়াত সুরসম্রাটের বাড়ির সামনে। উচ্চাঙ্গসংগীতের অনুরাগী সুপ্রিয়বাবু বলছিলেন গত বছরের জানুয়ারি মাসের কথা। রাশিদের গান শুনতে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন ডোভার লেন সঙ্গীত সম্মেলনে। একটা বছরও কাটল না৷ কলকাতাকে অনেকখানি রিক্ত করে চলে গেলেন উস্তাদ রাশিদ খান।
প্রয়াত কিংবদন্তির প্রয়াণে শোকস্তব্ধ সুপ্রিয়বাবুর কথায়, "এখনও কানে লেগে আছে ওঁর গাওয়া৷ অসম্ভব কষ্ট হচ্ছে। মনে পড়ছে ওঁকে একটি বিশেষ গান গাওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করছিলেন শ্রোতারা৷ উনি বলছিলেন, নতুন কিছু শোনাতে চান। আজ উস্তাদ রাশিদ খানের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে বার বার সেই সুর, সেই কথা মনে ভিড় করে আসছে।"
ডোভার লেনের সেই অনুষ্ঠানের অনেকখানি, প্রায় ৫০ মিনিট মোবাইলে রেকর্ড করে এনেছিলেন সুপ্রিয়বাবু৷ কিংবদন্তি পড়শির শেষ বিদায়ের লগ্নে তাঁর সম্বল সেই স্মৃতিটুকু।