শ্রেয়ার 'তুমি বন্ধু আজ শুনবে' দিয়ে শুরু।
গান আমাদের বাঁচার রসদ। ভালবাসায়, মন খারাপে, প্রতিবাদে গান-ই হয়ে উঠেছে আমার ভাষা, আমাদের স্বর। আর সেই গান যদি শোনা যায় কনসার্টে। প্রিয় শিল্পী আর ভক্তের মধ্যে কত অনুভূতির দেওয়া নেওয়া আর বাঁধ না মানা উচ্ছ্বাস, বিন্দু বিন্দু উন্মাদনা দিয়ে পারফরম্যান্স থেকে 'জীবন' হয়ে ওঠে এক একটা কনসার্ট।
২০২৪ পেরিয়ে এলাম সদ্য, একবার ফিরে দেখা যাক দেশের সাড়া জগানো কিছু কনসার্টে। অক্টোবর মাস। কলকাতা তখন আরজি কর আন্দোলনে উত্তাল। একবার কনসার্ট বাতিল করলেন শ্রেয়া। পরের কনসার্টে গর্জে উঠলেন সুরে সুরে। এক তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে গেয়ে উঠল হাজার 'তিলোত্তমা'।
ব্রায়ান
আট নয়ের দশকে বড় হওয়া মধ্যবিত্ত ভারতীয়র কাছে ওয়েস্টার্ন মিউজিকের দরজাটা খুলে দিয়েছিলেন ব্রায়ান অ্যাডামস। হাইস্কুল বা কলেজ প্রেমে তখন লভ অ্যানথেম হয়ে উঠেছিল 'প্লিজ ফরগিভ মি। আই কান্ট স্টপ লাভিং ইউ'। ৬৫-এর চির যুবক ব্রায়ান যখন কলকাতা কিমবা শিলং-এ গিটার হাতে গান ধরছেন, 'সামার অফ ৬৯' গাইছেন, চোখের জল বাঁধ মানছে না শইশব-কৈশোর হারানো ব্রায়ান-ভক্তদের।
দিলজিৎ
দেশজুড়ে নানা শহরে দিল ইলুমিনাটি কনসার্ট করলন পাঞ্জাবের সেনসেশন দিলজিৎ। ভারতের যে শহরেই মঞ্চে উঠলেন, শহরের মেজাজটাকে ছুঁয়ে দেখলেন দোসাঞ্জ। কলকাতায় এসে হলুদ ট্যাক্সিতে ফুল বাজার থেকে দক্ষিণেশ্বর চষে বেড়ালেন। দিলজিৎ- দিল তো তিনি জিতবেনই।
ডুয়া লিপা
গ্র্যামীজয়ী ডুয়া লিপা মঞ্চ মাতিয়েছেন মায়ানগরী মুম্বাইতে। এসআরকে-র গানের সঙ্গে নিজের গানের আইকনিক মাশআপেও কোমর দুলিয়েছেন ডুয়া।
এড শিরান
মুম্বইতে এড শিরান এসেছিলেন সেই কোন মার্চে। তাহলে সবার শেষে কেন বলছি শিরানের কথা। কারণ একটাই। একটা শেষ আর একটা শুরু গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে। চব্বিশ পেরিয়ে পঁচিশে পা দিলাম আমরা। সঙ্গে থাকুক শিরানের গান ;পারফেক্ট'। যদিও 'পারফেক্ট' বলে কিচ্ছু হয়না। তবু... সব কিছু একদিন পারফেক্ট হবে...এই ভাবনাটুকু সম্বল হোক নতুন বছরে।