আধুনিক সময়ে যত দ্রুত এগোচ্ছি আমরা, বাড়ছে নানান জটিলতা, বাড়ছে অসুখ। শরীরের অসুখ হলে অসুধ আছে, চিকিৎসক আছে, হাসপাতাল আছে, কিন্তু মনের অসুখ হলে? হ্যাঁ মনেরও অসুখ করে, তার জন্যেও চিকিৎসক থাকেন, কিন্তু মনের যে অসুখ করেছে, এবার যে সে কথা অন্য কাউকে বলা দরকার, নিজেকে সেতা বোঝাতেই সময় লেগে যায় অনেক। আজ ১০ অক্টোবর সারা বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। ১৯৯২ সাল থেকেই আলাদা করে একটি দিন রাখা হয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য।
তৃতীয় বিশ্বের দেশে, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলায় এখনও নানা অস্বস্তি কাজ করে। যে, বা যারা অবসাদের শিকার, কখনও অস্বস্তি তাঁদের তরফে, কখনও আবার পরিবারের তরফে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলাখুলি কথা বলার পরিবেশ এখনও আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নেই।
তবে মন ভাল না থাকার সমস্যা কিন্তু সারা পৃথিবীতেই ক্রমশ বাড়ছে। বিশেষ করে দীর্ঘ আড়াই বছরের অতিমারী পর্বে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। মনে রাখতে হবে, ডিপ্রেশন, অ্যাংজাইটি, ফ্রাস্ট্রেশন, সবই কিন্তু আলাদা আলাদা সমস্যা। বেশ কিছু ক্ষেত্রে শুধু নিজে নিজে এগুলো থেকে বের হওয়া সম্ভবও নয়, তার জন্য মনোবিদ, মনস্তাত্ত্বিকরা রয়েছেন। যেই মুহূর্তে মনে হচ্ছে, মন খারাপের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে একটু হলেও বেশি, অবহেলা না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া দরকার।
২০২২ এর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসের কেন্দ্রীয় ভাবনাই হল “Make mental health and well-being for all a global priority”, অর্থাৎ মন ভাল রাখার বিষয়টিকে সারা বিশ্বজুড়েই সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেওয়া।