সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে যুগ । পরিবর্তন এসেছে অনেক । তবে, বাঙালিদের শাড়ি প্রেম কিন্তু একই আছে । বছরের পর বছর ধরে আলমারিতে শোভা পাচ্ছে জামদানি, তাঁতের মতো ট্র্যাডিশনাল কিছু শাড়ি । বর্তমান যুগে ট্র্যাডিশনাল শাড়ির পাশেই আবার জায়গা করে নিয়েছে আধুনিক কিছু শাড়ি । তবে, জামদানি, তাঁতের কদরই আলাদা । পুজো হোক বা কোনও নিমন্ত্রণ বাড়ি, ট্র্যাডিশনাল শাড়িরই গ্রহণযোগ্যতা বেশি । সেক্ষেত্রে আপনি যদি বাঙালি হন, তাহলে আপনার আলমারিতে কোন পাঁচটি শাড়ি অবশ্যই থাকতে হবে, একনজরে দেখে নেওয়া যাক...
জামদানি
ট্র্যাডিশনাল শাড়িগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় । সূক্ষ্ম কাজ, সিল্ক ও সুতির সুতো দিয়ে বোনা হয়। এখন বাজারে নানা ধরনের জামদানি পাওয়া যায় । সফট জামদানি তার মধ্যে অন্যতম । বাঙালিদের আলিমারিতে সাদা-লাল কিংবা লাল বা কালো জামদানির কালেকশন বেশি থাকে । তবে, এখন কিন্তু বাজারে আরও নানা ধরনের, নানা রঙের, নানা স্টাইলের জামদানি এসেছে ।
তাঁত
বছরের বছর ধরে তাঁত শোভা পাচ্ছে বাঙালিদের আলমারিতে । তাঁতের শাড়ি বলতেই প্রথমে যে শাড়ির কথা মাথায় আসে তা হল টাঙ্গাইল । এই শাড়ির সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের ইতিহাস । হাফ সিল্ক আর সুতির উপরেই তৈরি করা হয় এই টাঙ্গাইল শাড়ি। হাফ সিল্ক আর সুতির উপরেই তৈরি করা হয় । তবে, তাঁতের শাড়িতেও এখন নানারকম ভ্যারাইটি রয়েছে ।
কাঞ্জিবরম
কাঞ্জিবরম বা কাঞ্চিপুরম সিল্ক। তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরমে এই শাড়ি তৈরি হয়। মেয়েদের অন্যতম পছন্দের শাড়ি । উজ্জ্বল রং, জমকালো জরির টেম্পল বর্ডারের শাড়ি বেশিরভাগের আলমারিতেই দেখা যায় ।
তসর
ট্র্যাডিশনাল শাড়িগুলির মধ্যে অন্যতম । তসর সিল্ক শাড়ি খুব হালকা হয় । টেক্সচার ও সূক্ষ্ম কাজের জন্যও বিখ্যাত। রেশম থেকে তৈরি হয় । শাড়ির বৈশিষ্ট্যই হল ছিমছাম অথচ আভিজাত্যপূর্ণ ।
বেনারসি
বিয়ে মানেই বেনারসি । তাই প্রত্যেক বাঙালির ওয়ার্ড্রোবে বেনারসি থাকতেই হবে । সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেনাসরিতেও এসেছে ভ্যারাইটি । লাল, তুঁতের ট্র্যাডিশনল রঙের পাশাপাশি কালো, কমলা, সবুজের মতো হটকে রংও বাজারে এখন ট্রেন্ড করছে ।