বদলাচ্ছে যুগ, বদলাচ্ছে মানুষের অভ্যেস । আর তার সঙ্গেই হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার কুটির শিল্পের ঐতিহ্য । প্রদীপের আলোর যুগ এখন কোথায়, তার বদলে এসে গিয়েছে রঙবেরঙের টুনি লাইট । কাঠের হাতা-খুন্তি ছেড়ে মানুষ ব্যবহার করছে স্প্যাচুলা । কুটির শিল্পের অস্তিত্ব সংকটের কাহিনিকেই এবার তুলে ধরল রিষড়ার জগদ্ধাত্রী পুজো একটি মণ্ডপ ।
হুগলির চন্দননগরের পাশাপাশি রিষড়াতেও জগদ্ধাত্রী পুজো বিখ্যাত । সেখানকারই পুজো কমিটি ৭২-এ আমরা-তে দেখা গেল অভিনব থিম । নাম শিল্প যখন ভাবায় । থিমের নামের সঙ্গেই সাজুয্য রেখে সেজে উঠেছে মণ্ডপ । আগে বাড়িগুলিতে কুলুঙ্গি দেখা যেত, কাঠের হাতা, খুন্তির ব্যবহার দেখা যেত । মণ্ডপসজ্জাতেও সেগুলি ব্যবহার করা হয়েছে । প্রতিমাতে রয়েছে সাবেকিয়ানার ছোঁয়া । অভিনব থিমের সাক্ষ্মী থাকতে নবমীর রাতে মণ্ডপে ভিড় করেছিলেন দর্শনার্থীরা । দশমীর সকালেও দেখা গেল সেই ছবি ।
এবার ৫২ বছরে পড়েছে কমিটির পুজো । প্রতিমা শিল্পী সুশান্ত দাস । থিমের ভাবনা ও পরিকল্পনায় সাত্যকি সুর । নির্মাণ সহযোগী বেনু মণ্ডল, আবহ সঙ্গীত ও ভাষ্যপাঠে বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত