চলতি বছর ভাইফোঁটা পড়েছে দু'দিন । তাই দ্বিতীয়া তিথি অনুযায়ী, অনেকেই ভাইফোঁটা সেরে ফেলেছেন মঙ্গলবার । আজ, অর্থাৎ, বুধবারও কিন্তু ফোঁটা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে । বলা ভাল, বেশিরভাগ বাড়িতে আজই ভাইফোঁটা পালন করা হচ্ছে । দুপুর ১টা ৪৭মিনিটে শেষ হয়ে যাচ্ছে দ্বিতীয়া । তাই তার আগেই ভাইফোঁটা সেরে ফেলতে হবে ।
ভাইফোঁটায় সাধারণত ভাই বা দাদাদের কপালে ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু কামনা করেন দিদি বা বোনেরা । এখন কিন্তু, ভাইফোঁটার অর্থ আরও বৃহত্তর, নির্দিষ্ট কোনও ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয় বলা যেতে পারে । যাঁদের ভাই বা দাদা নেই, বোন বা দিদি আছে, তাঁরাও কিন্তু পালন করে 'ভাইফোঁটা', অনেকে আবার বলে বোনফোঁটা । দিদি বা বোন একে অপরের কপালে চন্দন বা ঘিয়ের ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু, সুস্থতা কামনা করেন ।
'ভাইফোঁটা'-র আরও দু'টো আকর্ষণ হল দারুণ দারুণ উপহার, কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া-দাওয়া । এখন তো আবার অনেকেই রান্নার ঝামেলায় যান না । ভাইফোঁটা সেরেই, ভাই-বোনেরা মিলে হইহই করতে করতে রেস্টুরেন্টেই খাওয়া-দাওয়া সারেন । তবে, অনেকেই আছেন রান্না করে খাওয়াতে ভালবাসেন ভাই, দাদা বা বোনেদের । তাইতো, সকাল থেকেই খাসির মাংসের দোকানে পড়ে যায় লম্বা লাইন, মাছ, সবজির বাজারে তো হাঁটাচলা করাই দুষ্কর হয়ে ওঠে । আর সবকিছুর দামও হয় আকাশছোঁয়া । কিন্তু, তাতে কী, বছরে এই এতো একটা দিন আনন্দ কোনও ভাবেই মাটি করতে চায় না বাঙালি ।
বছরের পর বছর ধরে এভাবেই আনন্দে বাঁচুক বাঙালি, শুভ হয়ে উঠুক প্রতিটা উৎসব । প্রত্যেক ভাই-বোনদের এডিটরজি বাংলার পক্ষ থেকে ভাইফোঁটার শুভেচ্ছা ।
বছরের পর বছর ধরে এভাবেই আনন্দে বাঁচুক বাঙালি, শুভ হয়ে উঠুক প্রতিটা উৎসব । তবে, ভাইফোঁটা শুধু বাংলায় নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত কোথাও ভাইবীজ, কোথাও আবার যম দ্বিতীয়া নামেও পরিচিত । প্রত্যেক ভাই-বোনকে এডিটরজি বাংলার পক্ষ থেকে ভাইফোঁটার শুভেচ্ছা ।