ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স (Urinary Incontinence) এমন একটা অসুখ, মহিলাদের মধ্যে যা একেবারেই বিরল নয়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে আমরা যথেষ্ট সচেতন নই। ডেলিভারির পর অথবা মেনোপজের (Menopause) সময় অধিকাংশ মহিলা এই সমস্যায় ভোগেন।
সঠিক চিকিৎসায় এই রোগের নিরাময় সম্ভব, সে তথ্যও আমাদের অনেকের কাছেই নেই। তার বদলে আছে নানা সামাজিক ট্যাবু, অকারণ ফিসফাস।
রাহি হেলথ কেয়ারের ইউরোগায়নোকলজিস্ট বীণা চৌধুরীর কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক ইএই রোগ সম্পর্কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।
ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্স কয় প্রকার (Types of urinary incontinence)
- স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্স, (stress incontinence) এতে মহিলারা হাসলে, কাশলে অথবা জোরে হাসলেও প্রস্রাব হয়ে যায়।
- আর্জ ইনকন্টিনেন্স, (Urge incontinence) অপ্ল কিছুক্ষণের জন্যেও রোগী এ ক্ষেত্রে প্রস্রাব ধরে রাখতে পারেন না।
- মিক্সড ইনকন্টিনেন্স, (Mixed incontinence) এতে স্ট্রেস এবং আর্জ, দু'ধরণের লক্ষ্মণই দেখা যায়।
এই রোগের উপসর্গ কী? (Symptoms of Urine Incontinence)
- প্রস্রাব করার সময় অস্বস্তি, ব্যথা বা জ্বালা ভাব
- হঠাৎ করে প্রস্রাব পাওয়া
- ঘনঘন প্রস্রাব পাওয়া
- সারাক্ষণ প্যাড ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা বাড়া
ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্সের কারণ (Urine Incontinence Causes)
- চা, অন্যান্য পানীয় বেশি পান করা, তামাকজাত দ্রব্যের সেবন এই অসুখের ঝুঁকি বাড়ায়।
- হিস্টেরেকটমি, অ্যাজমা থাকলেও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
হাঁটু ব্যথায় কাবু ? অস্ত্রোপচার শুধুমাত্র সমাধান নয়, জেনে নিন কারণ...
ইউরিনারি ইনকন্টিনেন্সের চিকিৎসা (Urine Incontinence Treatment)
- স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্সের ক্ষেত্রে রক্ত পরীক্ষায় ইনফেকশন পাওয়া গেলে ওষুধ দেওয়া হয়। অসুখের মাত্রা বুঝতে করা হয় ইউরোফ্লোমেট্রি পরীক্ষা।
- ইউরিন পাথের বাধা সৃষ্টি হচ্ছে কিনা বুঝতে সোনোগ্রাফি করা হয়।
- এ ছাড়া ইউরোডায়নামিক পরীক্ষাও করা হয়।
চিকিৎসকদের পরামর্শ (Doctor's advice)
- ইনিফেকশন যাতে না হয়, সেদিকে নজর রাখা
- কতবার প্রস্রাব করতে হচ্ছে, তার হিসেব রাখা
- চা এবং জল পান কমানো
- নিয়মিত ওষুধ খাওয়া
- কেগেল এক্সারসাইজ, যোগা বাটারফ্লাই পোজ, স্কোয়াটিং পোজ অভ্যাস করা
- চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে মাত্র চার-পাঁচ দিনেও সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
চিকিৎসার খরচাও বেশি নয়। স্ট্রেস ইনকন্টিনেন্স অনেক সময় শুধু ওষুধে কমে না, অপারেশনের প্রয়োজন হয়। অপারেশন করতে হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব।