রান্নায় একটু তেল-ঝাল-মশলা না হলে যেন 'ভারতীয় রান্না' জমেই না! এমন ধারণাকে স্বাস্থ্য সচেতন নতুন প্রজন্ম স্ট্রেট ব্যাটে মাঠের বাইরে পাঠিয়েছে আগেই। বিশেষ করে সর্ষের তেলের ব্যাপারে সদা সতর্ক তারা। তবে, শুধু তো সর্ষে নয়। নারকোল থেকে শুরু করে সয়াবিন পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের তেলই ব্যবহার করা হয় রান্নায়। তাদের মধ্যে কয়েকটি তেল সত্যিই স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। এখানে রইল তেমনই কিছু তেলের কথা।
অ্যাভোক্যাডো তেল- শরীরে রক্তচাপ কমানোর জন্য এই তেল প্রবল উপকারী। কোলেস্টরলের ভারসাম্য রক্ষা এবং জয়েন্টের ব্যথাতেও উপকারী।
অলিভ তেল- অলিভের তেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ই থাকে। এই তেল ক্যানসারের বিরুদ্ধেও যথেষ্ট কার্যকরী।
তিলের তেল- হার্টের জন্য অত্যন্ত উপকারী এই ধরনের তেল। ব্লাডসুগারের ক্ষেত্রেও খুবই কাজে দেয়।
সর্ষের তেল- যতই সমালোচনা হোক, সর্ষের তেলের কিছু জরুরি গুণ রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল শরীরে ক্যানসারের কোষদের বৃদ্ধির গতিকে কমিয়ে দেয়। তবে, মাসে ৬০০ থেকে ৭০০ মিলিলিটারের ওপর সর্ষের তেল খাওয়া শরীরের পক্ষে অতি বিপজ্জনক।
অস্বাস্থ্যকর রান্নার তেল:
বাদাম তেল- ক্যালোরির অপচয় হয় এবং এই তেলে শরীরের একাধিক সমস্যা দেখা যায়।
সূর্যমুখী তেল- ভাজাভুজি তৈরির ক্ষেত্রে এই তেল ব্যবহার করা হয়। যা শরীরে গেলে ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে।
মাছের তেল- এই তেলে ওমেগা-থ্রি থাকে প্রচুর পরিমাণে। ঠান্ডার সময় অল্প করে নিতে হয়। তবে, এই তেলে রান্না করা যায় না।