দীপান্বিতা অমাবস্যায় সেজে উঠেছে আসানসোলের কল্যানেশ্বরী মন্দির (Asansol Kalyaneshwari Mandir)। এই মন্দিরে দেবী অধিষ্ঠান করেন শ্যামারুপা রূপে। পুজো করা হয় রত্নখচিত মূর্তিতে। যে রাখা মূর্তি রয়েছে মন্দিরের গর্ভগৃহ গুহার ভেতর।
কথিত রয়েছে শ্যামারূপা ছিলেন রাজা বল্লাল সেনের কুলোদেবী। বল্লাল সেনের কন্যার সঙ্গে কাশিপুরের রাজা কল্যাণী প্রসাদের বিয়ে হয়েছিল। তখনই শ্যামারুপাকে যৌতুক হিসেবে পান রাজা কল্যাণী প্রসাদ।
কিন্তু বিয়ে করে বাড়ি ফিরে আসার সময় গভীর জঙ্গলে দিকভ্রষ্ট হন কল্যাণী প্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী। শ্যামারুপাকে গাছের নিচে রেখে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে আর নাকি তোলা যায়নি ওই মূর্তি। সেখানেই গড়ে উঠেছে কল্যানেশ্বরী মন্দির। রাজা কল্যাণী প্রসাদের নাম থেকেই কল্যানেশ্বরীর সৃষ্টি।
প্রায় ৯ শতাব্দীর পুরনো কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে এখনও প্রতি বছর কালীপুজোর রাতে নৈবেদ্য পাঠানো হয় কাশীপুর রাজবাড়ি থেকে। পুজোয় রাজার নামেই প্রথম সঙ্কল্প করা হয়। দেবীর শাঁখা আসে দামোদরের শাঁখারি পরিবার থেকে। মহাধূমধামে পালিত হয় এই পুজো।
শোনা যায়, এই মন্দিরে প্রথম সিদ্ধিলাভ করেছিলেন কাপালিক দেবিদাস চট্টোপাধ্যায়। তাই কল্যানেশ্বরীকে সিদ্ধপিঠ বলা হয়। পাহাড় কেটে মন্দির বানানো হয়েছে। কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে কোনও মূর্তি পুজো হয় না। বছরের অন্য সময় সন্ধ্যা ৬টায় বন্ধ হয়ে যায় মন্দিরের দরজা।
আরও পড়ুন - দক্ষিণেশ্বরে দীপাণ্বিতা কালী পুজোর প্রস্তুতি, সকাল থেকেই দর্শণার্থীদের ভিড়
অতীতে বাঘের ভয়ে দিনের বেলায় সন্ধ্যা আরতি করে পূজারি মন্দিরের দরজা বন্ধ করে চলে যেতেন। সেই পরম্পরা আজও বর্তমান। শুধুমাত্র কালীপুজোর দিন সারারাত মন্দির থাকে খোলা। ছাগ বলি দেওয়া হয়।