প্রায় ৫০০ বছরের পুরানো বাঁকুড়া (Bankura) মালিয়াড়া গ্রামের রাজবাড়ির পুজো (Rajbari Puja)। রাজা নেই। রাজত্বও নেই। কিন্তু নোনা ধরা দেওয়ালের পরতে পরতে রয়ে গিয়েছে রাজ ঐতিহ্য। রাজবাড়ির জৌলুস না থাকলেও রয়ে গিয়েছে বনেদিয়ানা। আর সেই বনেদিয়ানা আর আভিজাত্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আজও মহা ধূমধামে দুর্গা পুজো হয় মালিয়াড়া রাজবাড়িতে।
রাজ বাড়ির পুজো আচার, অনুষ্ঠান, আয়োজন সব কিছুই আলাদা। একসময় প্রতিপদ থেকে শুরু হয়ে এই পুজা শেষ হত দশমীতে। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত একটানা যজ্ঞ করা হত। প্রতিটি পুজার নির্ঘন্ট তোপধ্বনির মাধ্যমে ঘোষণা করা হত। পুজোর চারদিন রাজ বাড়ীর দুর্গা দালানের সামনে নাটমন্দিরে হত নাচ, গান যাত্রা পালা, রাম লীলা।
পুজোর দিনে বেলজিয়াম কাঁচের তৈরি ঝাড়বাতি টাঙানো হত রাজ বাড়ী,দুর্গা মন্দির ও নাট মন্দিরে। আজ সে সবই অতীত। স্মৃতি হিসেবে রয়ে গিয়েছে বিশাল রাজ প্রাসাদের কিছুটা অংশ,দুর্গা মন্দির আর নাট মন্দির।
আরও পড়ুন - লক্ষ্মী-গণেশ কেউ নেই! এই ৫০০ বছরেরও বেশি পুরনো পুজোয় দেবী দুর্গা আসেন একাই
এই মন্দিরেই দুর্গা পুজো হয়। আজও প্রতিপদ থেকে দশমী পর্যন্তই চলে পুজো। প্রতিপদ তিথিতে দেবীমূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। রাজ ঐতিহ্য বজায় রেখে সন্ধিপুজোয় আজও তোপধ্বনি হয়। প্রতিদিন আশেপাশের গ্রামের মানুষজন রাজবাড়িতে পাত পেড়ে অন্ন ভোগ খান।